
মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, জলবায়ু পরিবর্তন কিংবা করোনাকালে স্বাস্থ্যখাতের চ্যালেঞ্জের মতো সমস্যাগুলোর সমাধানে সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে এনজিও এবং নাগরিক সংগঠনের নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। বিশেষ অতিথি ছিলেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. রাশেদুল ইসলাম ও অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. গওহর রিজভী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে এনজিওদের অবদান অপরিসীম। বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে নাগরিক সংগঠনগুলো ভূমিকা পালন করেছে। বেসরকারি সংস্থা ও নাগরিক সংগঠনগুলোর একটি বৃহত্তর জোট গঠন করা অত্যন্ত ইতিবাচক। এখন ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অশিক্ষা দূরীকরণে তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এই জোটের বিশ্বাসযোগ্য গবেষণা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ২০৩০ সালের এসডিজি অর্জনের জন্য এই জোটের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার দিকে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের এই চ্যালেঞ্জগুলোর প্রতি আরো মনোযোগী হওয়া উচিত। পশ্চাৎপদ, অবহেলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর সেবাকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত।
ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে নবগঠিত এই বৃহত্তর জোটের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং পরবর্তী পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়। কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন করতে প্রাথমিকভাবে দুই বছর এর সচিবালয়ের দায়িত্ব পালনের জন্য মনোনীত হয়েছে ব্র্যাক।
এতে বক্তব্য দেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. রাশেদুল ইসলাম, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, সিপিডি-র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, বেসরকারি অধিকার সংস্থা নিজেরা করি-র সমন্বয়কারী খুশি কবীর, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মালেকা বানু, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভী রাখসান, অ্যাকশান এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, আইএনজিও ফোরামের সফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশের জাতীয় প্রতিবন্ধী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনসুর আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।