Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

খুপড়ি ঘরে কনকনে শীতে মনোয়ারার মানবেতর জীবন

Icon

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:৫৯

খুপড়ি ঘরে কনকনে শীতে মনোয়ারার মানবেতর জীবন

ছবি: ঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠির রাজাপুরের মঠবাড়ি ইউনিয়নের মঠবাড়ি গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডের মৃত আনসার হাওলাদোরের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫০) ও বিএ দ্বিতীয় বর্ষে পড়ুয়া মেয়ে তুলি আক্তার।

তারা রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে এসে বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে দিনমজুর আনসার হাওলাদার তিনটি মেয়ে সন্তান রেখে মারা যান। সংসারে উপার্জনের কেউ নেই। ১২ শতাংসের বসত ভিটায় বাঁশ-টিন দিয়ে এক কক্ষবিশিষ্ট একটি ঝুপড়ি ঘর ছাড়া আর কিছুই নেই। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে মনোয়ারা অন্যের ঘরে ঝিয়ের কাজ করে সংসার চালিয়ে আসছিলেন। বড় মেয়ে লাইজু বেগমকে রংপুরের সুলতান নামের এক ছেলের সাথে বিয়ে দিয়েছেন। সুলতান ঢাকায় গার্মেন্টস্ কর্মী। মেঝ মেয়ে রুবি বেগমকে শামিম বেপারী নামে এক ছেলের সাথে বিয়ে দেন। শামিম ঢাকায় রিক্সাচালক। বড় জামাই সুলতান মাঝে মাঝে সামান্য টাকা পাঠায় তাই দিয়ে কোনোরকম অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছেন তারা। বর্তমানে তাও কিনতে পারছেন না। কারণ সুলতানও করোনার সময় টাকা পাঠাতে পারছেন না। 

সংসার চালাতে মানুষের কাছে হাত পাততে হয় মনোয়ারা বেগমের। ছোট মেয়ে তুলি উপজেলার বড়ইয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষে লেখাপড়া করছেন। মেধাবী ছাত্রী তুলির লেখাপড়ার সব খরচ বহন করছেন ওই কলেজের অধ্যক্ষ উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরউজ্জামান। মনোয়ারার বুকে ব্যথা ও পায়ে সমস্যা হওয়ায় ৬ মাস আগে থেকে কোন কাজ করতে পারছেন না এবং অর্থাভাবে ডাক্তারও দেখাতে পারছেন না। বর্তমানে ঝুপড়ি ঘড়ের বেড়া না থাকায় তীব্র শীতে চরম কষ্টের শিকার হচ্ছেন তারা। বৃষ্টির দিনে ঘরে পানি পড়ে সবকিছু ভিজে যায়। তাদের কষ্টের কথা শুনে ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর মাসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহাগ হাওলাদার কিছু চাল দিয়েছিলেন। এছাড়া অন্য কোনো সাহায্য সহোযোগিতা তারা পাননি। 

তুলির অভিযোগ, হয়তো ঘুষ দিতে পারি নাই তাই ঘর পাই নাই। তারা সরকার ও বিত্তশালীদের কাছে একটি ঘর ও দু’মুঠো খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। সাহায্য পাঠাতে ০১৭০৭৬২৪৩৪৮ এ নম্বরে যোগাযোগ করার আহবান এ পরিবারটির। 

মঠবাড়ি ইউনিয়নের মঠবাড়ি গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চারমিং জানান, বিধবা মনোয়ারা বেগম খুব অসহায় অবস্থায় আছে, তিনি ভাঙা খুপড়ি ঘরে অতিকষ্টে বসবাস করতেছেন। তার একটি ঘর খুবই জরুরি। 

এ বিষয়ে ইউএনও মোক্তার হোসেন জানান, খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং তাকে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাসও দেন তিনি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫