Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

থট লিডারশিপ প্ল্যাটফর্ম ‘প্রেরণা কথা’র পথচলা শুরু

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১৭:১৯

থট লিডারশিপ প্ল্যাটফর্ম ‘প্রেরণা কথা’র পথচলা শুরু

জাতি গঠনের কারিগর ও পথপ্রদর্শকদের সাক্ষাৎকার সম্বলিত থট লিডারশিপ ব্রডকাস্ট সিরিজ ‘প্রেরণা কথা’ এর পথচলা শুরু হলো।

সম্প্রতি ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘প্রেরণা কথা’ এর উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
    
গত ৫০ বছরে দেশের যেসব কৃতি সন্তানেরা জাতি গঠন ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, তাদের অনুপ্রেরণা, সাফল্য, অভিজ্ঞতা ও চ্যালেঞ্জগুলোকে তরুণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের নেতাদেরকে অনুপ্রাণিত করাই এই ব্রডকাস্ট সিরিজের লক্ষ্য।
 
দেশে তরুণদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগটি কাজে লাগাতে তাদের উন্নয়নে সরকার নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গত পাঁচ দশকে যারা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন, তাদের অভিজ্ঞতা ও অনুপ্রেরণার গল্প তরুণদের সামনে তুলে ধরার মাধ্যমে সরকারগৃহীত পদক্ষেপগুলোকে সহযোগিতা করার প্রয়াস থেকেই ‘প্রেরণা কথা’ চালু করা হয়েছে। জাতি গঠনের ক্ষেত্রে তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে এটি দ্রুত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
 
সিরিজটির প্রথম সিজনে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন- এমন চারজন স্বনামধন্য ব্যক্তির সাক্ষাৎকার রাখা হয়েছে। তাদের এসব সাক্ষাৎকার পরবর্তীতে বই আকারে প্রকাশ করা হবে, যেটি আগামী বছর স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তিকে সামনে রেখে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হবে।
 
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন ও একাত্তরে যুবকদের বড় ভূমিকা ছিলো। বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ যুবক। ১৮ থেকে ৩৫ বছরের এই বিপুলসংখ্যক যুবশক্তিকে আত্মনির্ভরশীল এবং দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে না পারলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।’

প্রেরণা ফাউন্ডেশনের গভর্নিং বডির ভাইস চেয়ারম্যান শেহজাদ মুনীম বলেন, ‘জাতির কৃতি সন্তানদের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান, লক্ষ্যমাত্রা ও অনুপ্রেরণার সাথে পরিচয় ঘটিয়ে দেয়ার মাধ্যমে যুবসমাজকে আগামীর নেতৃত্ব প্রদানে অনুপ্রাণিত ও সক্ষম করে তোলার ক্ষেত্রে সরকারি, বেসরকারি ও উন্নয়নখাতগুলোর চলমান প্রচেষ্টাকে এই প্ল্যাটফর্মটি দারুণভাবে সাহায্য করবে বলে আশা করছি।’

পল্লী কর্ম -সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মঈনুউদ্দীন আবদুল্লাহ; ইয়্যুথ অপারচ্যুনিটিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন নূর; জেসিআই বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট (২০২১) নিয়াজ মোর্শেদ এলিট; মিশন সেভ বাংলাদেশের দুই সহ-উদ্যোক্তা তাজদিন হাসান (হেড অফ মার্কেটিং, দি ডেইলি স্টার) ও ইমরান কাদির (হেড অফ মার্কেটিং, দৈনিক সমকাল); কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী, সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, প্রেরণা ফাউন্ডেশন; প্রেরণা ফাউন্ডেশনের গভর্নিং বডির পরিচালক মুবিনা আসাফ ও ভারপ্রাপ্ত সিইও আনোয়ারুল আমিন; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক ড. মেলিতা মেহজাবিন এবং আরেক সহযোগী অধ্যাপক খালেদ মাহমুদ প্রেরণা কথার এই ভার্চ্যুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।   

বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভবিষ্যৎকে উজ্জ্বলতর করার লক্ষ্য নিয়ে একাগ্রে কাজ করে যাচ্ছে প্রেরণা ফাউন্ডেশন। জাতিসংঘ নির্ধারিত সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল বা এসডিজি-র আওতাধীন উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহকে সামনে রেখে প্রেরণার সকল কার্যক্রমের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জন করার জন্য সামষ্টিক এবং সকল কার্যক্ষেত্রব্যাপী উদ্যোগ গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন, যে সকল উদ্যোগ সমাজের দারিদ্র্যপীড়িত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষদেরকে যথাযথ বিজনেস মডেলের আওতাধীন করার মাধ্যমে নিজ নিজ ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে সক্ষম করবে। যে কারণে প্রেরণা ফাউন্ডেশন বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে হাত মিলিয়ে এক জোটে তৈরী করছে নতুন নতুন সম্ভাবনা। ২০৩০ সাল নাগাদ সরকারের উদ্দীষ্ট এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা জয়ে এভাবেই তৈরী হচ্ছে একেকটি নতুন সোপান। ইতিমধ্যেই প্রেরণার উদ্যোগে বিভিন্ন মাল্টি-স্টেকহোল্ডার এবং মাল্টি-সেক্টরাল প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হয়েছে, যার ধারাবাহিকতায় একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করা সম্ভব বলে প্রেরণা ফাউন্ডেশন আত্মবিশ্বাসী।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫