Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

দেবরের পুরুষাঙ্গ কাটলেন ভাবী

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০, ২৩:৪৫

দেবরের পুরুষাঙ্গ কাটলেন ভাবী

ফাতেমা আক্তার সুমা নামের এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে জমানো টাকা ফেরত চাওয়ায় দেবরের পুরুষাঙ্গ কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শাহবাগ থানাধীন পীর ইয়ামেনী আবাসিক হোটেলে গত ৯ নভেম্বর এ ঘটনায় ঘটে। ঘটনার প্রায় দেড়মাস পর মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সামিউলের মেজ ভাই শাহবাগ থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন পশ্চিমদী শ্যামপুর এলাকা থেকে ফাতেমা আক্তার সুমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) ফাতেমাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই অমল কৃষ্ণ দে। আসামিরপক্ষে ইলিয়াস উদ্দিন মৃধা, সাইফুল ইসলাম রনি রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া জামিন নামঞ্জুর করে আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট ভুক্তভোগী মো. সামিউল। স্টিলের প্লেনশিটের দোকানে চাকরি করে বেতনের টাকা বড় ভাবি ফাতেমার কাছে জমা রাখতেন তিনি।

সেই জমানো টাকা ফেরত চাইলে ঘটনার দিন ৯ নভেম্বর শাহবাগ থানাধীন পীর ইয়েমেনী মার্কেটের সামনে তাকে যেতে বলেন ফাতেমা। কাজে যাওয়ার জন্য বের হয়ে ভাবির ফোন পেয়ে সেখানে যান সামিউল। সেখানে গেলে ফাতেমা রাস্তায় দাঁড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা না দিয়ে পীর ইয়ামেনী আবাসিক হোটেলের পঞ্চম তলার ৫১৪ নম্বর রুমে যেতে বলেন। রুমে যাওয়ার পরপরই আসামি সামিউলের চোখে-মুখে চেতনানাশক স্প্রে করেন। তখন সামিউল অজ্ঞান হয়ে যান। অজ্ঞান অবস্থায় দেবরকে হত্যার উদ্দেশ্যে পুরুষাঙ্গের মাথা কেটে ফেলেন আসামি।

দুই ঘণ্টা পর সামিউলের জ্ঞান ফিরলে পুরো শরীর রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান তিনি। সেই সময় আসামি তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পুরুষাঙ্গের কাটা অংশ দেখিয়ে বলেন, তোর বিয়ে করার স্বাদ মিটিয়ে দিয়েছি। আসামি বিষয়টি গোপন রাখতে বলেন। পরে আসামি নিজেই হোটেলের বাইরে অবস্থানরত অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের সহায়তায় অটোরিকশায় করে সামিউলকে ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে কোনো চিকিৎসা না হওয়ায় তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেও কোনো চিকিৎসা না পাওয়ায় তাকে বিকেল ৫টার দিকে আল মানার হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভুক্তভোগী এখনো সেখানে চিকিৎসাধীন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫