নানীর করা মামলায় জামিন পাওয়ার পর অবশেষে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন বিচারপ্রার্থী দুই শিশুর মা ওয়াসিমা খাতুন। 

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে তিনি মুক্তি পান।

এর আগে গতকাল বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ জামিনের এ আদেশ দেন। তবে ওই শিশুদের বাবা মো. তোফায়েলকে জামিন দেয়া হয়নি।    

গত পাঁচদিন ধরে মা-বাবা থেকে বিচ্ছিন্ন আড়াই বছরের ইয়াছিন ও সাড়ে তিন বছরের টুম্পা প্রতিবেশীর হাত ধরে গত মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) পা রাখে আদালতে। কান্নাকাটি করে আদালতের বারান্দায়। বিষয়টি গণামাধ্যমে প্রচারের একদিন পর দুই শিশুর মাকে জামিন দেন আদালত।

পারিবারিক কলহের জেরে নিজের মেয়ে ওয়াসিমা বেগম ও জামাতা তোফায়েলের বিরুদ্ধে চুরি ও মারধরের অভিযোগে মামলা করেন মোমেনা বেগম নামে এক নারী। রাজধানীর বংশাল থানার ওই মামলায় গত শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) তাদের গ্রেফতার করা হয়। মা-বাবা জেলে থাকায় সাড়ে তিন বছরের টুম্পা ও আড়াই বছরের ইয়াছিনের ঠাঁই মেলে প্রতিবেশীর বাড়িতে। 

তাদের হাত ধরেই দুই ভাই বোন বাবা-মায়ের জামিনের জন্য বিচারক মো. মামুনুর রশিদের আদালতে গিয়েছিল। কিন্তু সেদিন দুই শিশুটির বাবা-মাকে জামিন দেননি বিচারক। উল্টো শিশুরা আদালতের ভেতরে কান্নাকাটি করায়, দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্যকে শোকজ করেছিলেন আদালত। 

ফলে মা-বাবাকে ছাড়াই কাঁদতে কাঁদতে আদালত ছাড়ে শিশু টুম্পা-ইয়াছিন। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর গতকাল বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান আসাদ, শিশির মনির ও কুমার দেবুল দে। শুনানি শেষে আদালত দুই শিশুর মাকে দ্রুত মুক্তির নির্দেশ দেন। একইসাথে তাদের বাবাকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।