শফীর মৃত্যু নিয়ে মিথ্যাচার করছেন বাবুনগরী: মাঈন উদ্দীন

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২০, ১৪:৩৩
ছবি: সংগৃহীত
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যু নিয়ে সংগঠনটির বর্তমান আমির জুনায়েদ বাবুনগরী মিথ্যাচার করছেন। শফীর শ্যালক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন এমন অভিযোগ করেছেন।
আজ শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
এর আগে শফীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার জন্য দুইদিন ধরে চরম নির্যাতন ও মানসিক নিপীড়ন চালানো হয়েছে বলে দাবি করে গতকাল শুক্রবার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়েছেন দেশের শীর্ষ ৩১৩ আলেম-পীর মাশায়েখ।
আজ সংবাদ সম্মেলন মাঈন উদ্দীন বলেন, গত ২৩ ডিসেম্বর হাটহাজারী মাদ্রাসায় জুনায়েদ বাবুনগরী ও তার সহযোগীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বাবুনগরীর মতো বয়োবৃদ্ধ আলেম সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যাচার করছেন।
তিনি বলেন, গত ১৬ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী মাদ্রাসায় কী ঘটেছিল তা আপনারা সবাই জানেন। কওমী ভিশনের মাধ্যমে বাবুনগরী মাদ্রাসায় অবস্থান করে সব ঘটনা লাইভ প্রচার করেছেন। আপনারা দেখেছেন শহীদ শফী হুজুরের রুমে কীভাবে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির, মীর ঈদ্রিস, মাওলানা শহীদুল্লাহ, মাওলানা ইনামুল হাসান, মাওলানা জুনায়েদ (হত্যা মামলার আসামি) উপস্থিত থেকে শফী হুজুরকে জোরপূর্বক হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে পদত্যাগে বাধ্য করেন।
তিনি আরো বলেন, বাবুনগরীর সরাসরি হস্তক্ষেপে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্র শিবির, বিএনপি, নিষিদ্ধ ঘোষিত হুজি, হিযবুত তাহরীরসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা জানাজায় পরিকল্পিতভাবে অবস্থান নেয়।
মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন দাবি করেন আজকের সংবাদ সম্মেলনে আহমদ শফীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ মাদানী উপস্থিতি থাকার কথা ছিল। কিন্তু মামুনুল হক বাহিনীর কারণে তিনি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে পৌঁছাতে পারেননি। তাকে হাটহাজারী থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
কয়েক দশক ধরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার মুহতামিম বা মহাপরিচালকের পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন শাহ আহমদ শফী। এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে তিনি বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা বোর্ড বা বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশেরও (বেফাক) সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন।
হেফাজতে ইসলাম নামে যে সংগঠন গড়ে ওঠে, শুরু থেকে সেটির আমিরের দায়িত্বও তিনি ছিলেন। মূলত কওমী মাদ্রাসার নেতৃত্বের ওপর ভর করেই শফী হেফাজতের দায়িত্বে ছিলেন।