বাসাবাড়িতে পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাসের সংযোগ স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। 

এমনকি ডিমান্ড নোট ইস্যু হওয়া ও টাকা জমা দেয়া গ্রাহকদের আবেদনও বাতিল করা হবে। তাদের অর্থ ফেরত দেবে সংশ্লিষ্ট বিতরণ কোম্পানিগুলো। আজ রবিবার বা আগামীকাল সোমবার বৈঠক করে বাস্তবায়ন পরিকল্পনা ঠিক করবে তারা। 

সরকারের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ গত বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোকে এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়ে বাস্তবায়নের আদেশ দিয়েছে। এরফলে দীর্ঘদিন ধরে আবাসিক গ্যাস সংযোগের অপেক্ষায় থাকা গ্রাহকরা আর সংযোগ পাবেন না। 

বিতরণ সংস্থাগুলোর তথ্য মতে, নতুন সংযোগের জন্য ডিমান্ড নোট ইস্যু হওয়া ও প্রয়োজনীয় ফি জমা দেয়া গ্রাহকের সংখ্যা আড়াই লাখের মতো। 

গ্যাস ও খনিজ সম্পদ খাতের নেতৃত্ব প্রদানকারী সংস্থা পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা জানান, বৈধ-অবৈধ নানা উপায়ে এই শ্রেণির গ্রাহকসংখ্যা প্রায় ৮ লাখ হবে। ডিমান্ড নোট ইস্যু হওয়া ও টাকা জমা দেয়া গ্রাহকদের প্রায় সবাই অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করছেন। বিতরণ কোম্পানিগুলোর স্থানীয় কর্মকর্তা ও ঠিকাদাররা মিলে বাসাবাড়িতে অবৈধভাবে গ্যাসের সংযোগ দিয়েছেন ও প্রতি মাসে মাসিক বিলও আদায় করছেন। 

দেশে সবচেয়ে বড় গ্যাস বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী আলী ইকবাল মো. নূরুল্লাহ এ বিষয়ে বলেছেন, গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়েছি। গৃহস্থালিতে আর গ্যাস দেয়া হবে না। যেসব গ্রাহক সংযোগের জন্য আবেদন করেছেন ও টাকা জমা দিয়েছেন, তাদের নাম আমাদের তথ্যভান্ডারে রয়েছে। আজ রবিবার এ বিষয়ে আমরা একটি সভা করে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের রোডম্যাপ তৈরি করব। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ বা অন্য কোনো উপায়ে গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করে টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

দেশে গ্যাস বিতরণে অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি ও সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি। 

এই সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারাও জানিয়েছেন, আগামী রবি কিংবা সোমবার সভা করে তারা সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের রূপরেখা ঠিক করবেন।