একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ২ বছর পূর্তি আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২০, ০৯:৪২

ফাইল ছবি
আজ ৩০ ডিসেম্বর (বুধবার)। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই বছর পূর্তি। ২০১৮ সালের এদিন দেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে জয় পায় এবং টানা তৃতীয়বারের মতো পাঁচ বছরের জন্য সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পায়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন এবং ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট মন্ত্রী সভা গঠন করেন।
তবে এই নির্বাচন নিয়ে অনেক প্রশ্ন ও বিতর্ক রয়েছে। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনের পর প্রথমবারের মতো এই নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল, ফলে সে বিবেচনায় ২০১৮ সালের এই জাতীয় নির্বাচনের একটা ভিন্ন দিক ছিল।
তবে দলীয় সরকারের অধীনে নিয়ন্ত্রিত ও একচেটিয়াভাবে নির্বাচন করার অভিযোগ ওঠে। এই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন ও অভিযোগের পাল্লা অনেক ভারি হয়।
এর আগে ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষণায় ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঠিক করা হলেও ১২ নভেম্বর পুনঃতফসিলে ৩০ ডিসেম্বর নির্ধারিত হয়।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতৃত্বে গঠিত মহাজোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জোটসহ বাংলাদেশের নিবন্ধিত সর্বমোট ৩৯টি দল অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনে এক হাজার ৮৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন যার মধ্যে ১২৮ জন স্বতন্ত্র।
এছাড়া গাইবান্ধা-৩ আসনে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী ফজলে রাব্বি চৌধুরী ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে নির্বাচনের প্রাক্কালে মৃত্যুবরণ করায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) আসনটিতে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে। ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি এ আসনে ভোট গ্রহণের পুনঃতফসিল ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচনে সারাদেশে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১০ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৪৮০ জন। যার মধ্যে ৫ কোটি ২৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩২৯ জন পুরুষ ও ৫ কোটি ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ১৫১ জন নারী ভোটার।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জোটসঙ্গীরা ২৮৮টি আসন পায়। আর বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট পায় মাত্র সাতটি এবং বাকি তিনটি আসন পায় অন্যরা।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এ নির্বাচনের ছয়টি নির্বাচনী আসনে সম্পূর্ণভাবে ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোট গ্রহণ করা হয়। ইভিএম ব্যবহার করা আসনগুলো ছিল- ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ ও সাতক্ষীরা-২।