
স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান বলেছেন, করোনা ভ্যাকসিনের ব্যাপারে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের শীর্ষ পর্যায় অবগত আছেন। তাই আশা করি ভ্যাকসিন পেতে দেরি হবে না।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিন জিটুজি (দুই সরকারের মধ্যে) পর্যায়ে না বেসরকারিভাবে আসবে, সেটা কোনো বিষয় নয়।
ভারতে সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনকার করোনা ভ্যাকসিন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটির সরকার। রবিবার (৩ জানুয়ারি) এ ঘোষণা দেয়া হয়। সেরাম ইনস্টিটিউটের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এপি। রবিবার সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা এপিকে বলেন, কয়েক মাসের জন্য ভ্যাকসিন রফতানির অনুমতি দেবে না ভারত। ভারতীয়রা যাতে যথাযথভাবে ভ্যাকসিন পায় সেজন্য এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে আজ এক টুইট বার্তায় পুনাওয়ালা দাবি করেছেন, ভারত থেকে সব দেশেই করোনার ভ্যাকসিন রফতানির অনুমোদন আছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ জানুয়ারির শেষে বা ফেব্রুয়ারির শুরুতে যে ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে সেটি এই সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকেই পাওয়ার কথা। প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ হিসেবে পুরো তিন কোটি টিকার জন্য অগ্রিম ৬০০ কোটি টাকাও সেরামের অ্যাকাউন্টে জমা দেয়া হয়েছে বলে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।