
ছবি: সংগৃহীত
পুলিশের ওপর হামলাসহ নানা অপকর্মের জন্য আলোচিত চট্টগ্রাম নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী নূরে আলম নুরুকে সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) রাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান।
তিনি জানান, গোয়েন্দা পুলিশ ও আকবর শাহ থানা পুলিশের যৌথ দল তাকে গ্রেফতার করেছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
নুরুর বিরুদ্ধে সরকারি পাহাড় কেটে প্লট তৈরি করে বিক্রি, অপহরণ, চাঁদাবাজি, মাদকের আসর ও মাদক ব্যবসা, জুয়ার আসর বসানো ও লেকের মাছ লুটসহ বিভিন্ন অপরাধে ২৪টি মামলা রয়েছে।
এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত চলা অভিযানে ১২ সহযোগীকে গ্রেফতার করলেও পালিয়ে যায় নুরু। এ পরিস্থিতিতে তাকে খুঁজতে গোয়েন্দা পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য শাখার কর্মকর্তারাও মাঠে নামে।
বিভিন্ন অপকর্মের হোতা নুরু চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। ২০১৪ সালের ৬ জুলাই অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে গেলেও জামিন নিয়ে বের হয়। এরপর আর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
পাশাপাশি ২০১৪ সালের একটি অস্ত্র মামলায় নুরুর ১৭ বছরের সাজা হয়েছিল। ২০১৯ সালে নুরুর বিরুদ্ধে সাজার পরোয়ানা হলেও সেটির কোনো রেকর্ড ছিল না থানায়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর বৃহস্পতিবার নুরুর সাজার পরোয়ানা আসে থানায়।
সম্প্রতি ডেরা থেকে ১২ জনকে গ্রেফতার করার পর আরো ৫০ জনকে নতুন করে এলাকায় সোর্স হিসেবে নিয়োগ দেয় নুরু। যারা এলাকায় সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে ও পুলিশি উপস্থিতি টের পেলেই জানিয়ে দিতো।
অভিযোগ রয়েছে, নুরুর পরিবারের সদস্যরা চট্টগ্রামের নাছিয়া ঘোনা এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করেন। নুরুর মতো তার ভাই জানে আলমও সেখানে পাহাড় কেটে বসতি গড়ে তুলেছেন। নুরুর স্ত্রী, তার ভাই জানে আলমের স্ত্রী ও বোন রুবি তাদের অনুসারী পরিবারের নারীদের নিয়ে পুলিশের উপর ইট ছোঁড়ে বলে জানান স্থানীয় কয়েকজন।
নুরুর স্ত্রী ও বোন সেখানে ‘ইয়াবা কারবার নিয়ন্ত্রণ করছেন’ বলেও অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়দের কাছে তিনি নগরীর ১ নম্বর ঝিল এলাকার ‘ডন’ হিসেবে পরিচিত।