
আজ শহীদ আসাদ দিবস। ১৯৬৯ সালের এইদিনে পাকিস্তান-আইয়ুব শাহীর পতনের দাবিতে ছাত্র-জনতার মিছিলে পাকিস্তানি পুলিশের গুলিতে শহিদ হয়েছিলেন তৎকালীন ছাত্রনেতা আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। সেই থেকে শহীদ আসাদ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে দিনটি।
এদিকে, দিবসটি উপলক্ষ্যে পৃথক বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে শহীদ আসাদের অসামান্য অবদান দেশের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আসাদের আত্মত্যাগ আমাদের মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি অনন্য মাইলফলক।
‘দেশে গণতন্ত্রের ইতিহাসে শহীদ আসাদ দিবস একটি অবিস্মরণীয় দিন’ জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি তৎকালীন পাকিস্তানি স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে এ দেশের ছাত্র সমাজের ১১-দফা দাবির মিছিলে পুলিশের গুলিতে এদিন শহীদ হন ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ওরফে আসাদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারী শহীদ আসাদ এ দেশের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার আত্মত্যাগ ভবিষ্যতেও আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে প্রেরণা যোগাবে।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কর্মসূচি পালন করছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে শহিদ আসাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে।
উল্লেখ্য, শহীদ আসাদের পুরো নাম আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসাদ। ১৯৪২ সালে নরসিংদী জেলায় তার জন্ম। ছাত্রনেতা আসাদ তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। আসাদ ছাত্র রাজনীতিতে অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।