রংপুরের মিঠাপুকুরে স্বাধীনতার ৪৯ বছর অতিবাহিত হলেও পাকা সেতু হয়নি। শালমারা নদীর মধ্যবর্তী শিঙ্গীকুড়া বাতেনের ঘাটে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপাড় হচ্ছে ৩ ইউনিয়নের ৮ গ্রামের মানুষ। ভোটের আগে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি সব নেতারাই দিলেও ভোট শেষে কেউ কথা রাখেনি। এভাবেই কেটে গেল কয়েক যুগ।
একাধিকবার আবেদন করেও সেতু নির্মাণের কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় হতাশায় দিন কাটছে হাজার হাজার মানুষের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে রংপুর জেলা ঐতিহ্যবাহী মিঠাপুকুর উপজেলা কাফ্রিখালও বেগম রোকেয়া স্মৃতি পায়রাবন্দ ইউনিয়ন রংপুরের সদর পারুল ইউনিয়নের সঙ্গে একমাত্র সংযোগ স্থাপনকারী একটি সেতু এটি। স্থানীয়রা স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে বাঁশ সংগ্রহ করে ওই স্থানে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে, যা ৬ মাসের মধ্যেই নড়বড়ে হয়ে যায়।
সেতু এলাকাটি দুই ইউনিয়নের সীমান্তে হওয়ায় এক চেয়ারম্যান আরেক চেয়ারম্যানের এলাকা বলেন, পাশ কাটিয়ে চলার কারণে পাকা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। নারায়ণ পুর গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন মানিক মাস্টার, আ. মজিদ মিয়া বলেন, দুই চেয়ারম্যানের মধ্যে সমন্বয় হলে দ্রুত পাকা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হতো।
পায়রাবন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফয়জার রহমান বলেন, এখন ভোটের সময় হয়ে আগামীতে আমি নির্বাচিত হলে কাফ্রিখাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সঙ্গে যোগাযোগ করে সেতুটি নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আকতারুজ্জান বলেন, আমি ৬ মাস আগে যোগদান করেছি সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কথা বলে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।