চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে মারামারি ও সহিংসতার ঘটনায় নগরীর কোতোয়ালী থানার ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিল বিএনপি নেতা ও বিএনপি মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ ইসমাইল বালীকে আটক করেছে পুলিশ।

কয়েকটি কেন্দ্রে মারামারির ঘটনার পর আজ বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বালীকে আটক করা হয় বলে পুলিশ জানায়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) পলাশ কান্তি নাথ সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে বহুল প্রতীক্ষিত চসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন নির্বাচনি সহিংসতায় ভাইয়ের হাতে ভাইসহ মোট দুইজন নিহত হয়েছেন।

আজ সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরুর পরপরই খুলশী থানার ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আমবাগান ইউসুফ স্কুল এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত ওয়ার্ড কাউন্সির প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আলম মিয়া (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আরো পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে নগরীর ১২ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের বার কোয়াটার এলাকায় আপন ভাইয়ের হাতে নিজাম উদ্দিন মুন্না (৩৫) এক যুবক খুন হয়েছেন। আজ সকাল ৮টার দিকে বার কোয়াটার ডায়মন্ড টার্চ কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) রাশেদুল হক জানান।

গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি চসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল ইসি। ওই তফসিল অনুসারে ২৯ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। তবে দেশে করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে ভোটগ্রহণের আটদিন আগে ২১ মার্চ তা স্থগিত করা হয়। এরপর গত ১৪ ডিসেম্বর চসিক সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণের জন্য ২৭ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করে ইসি।

নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম চৌধুরী (নৌকা), বিএনপির শাহাদাত হোসেন (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা), এনপিপির আবদুল মঞ্জুর (আম), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন (মোমবাতি), ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার) এবং স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী খোকন চৌধুরী (হাতি) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এছাড়া ৪১ সাধারণ ওয়ার্ডে ১৭২ কাউন্সিলর প্রার্থী ও ১৪ সংরক্ষিত আসনে ৫৭ নারী কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। -ইউএনবি