টিকা নেয়া কারও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখিনি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ১৮:৪৪

ছবি: সংগৃহীত
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে প্রথমে পাঁচজনকে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হয়েছে। তাদের প্রায় ৩০ মিনিট পর্যবেক্ষণ করেছি। তাদের কারো মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনো আলামত দেখিনি।
আজ বুধবার (২৭ জানুয়ারি) করোনার টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর তিনি এসব কথা বলেন।
বিকেল সাড়ে ৩টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ২৬ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বহু প্রতীক্ষার পর আজ আমরা করোনার টিকা পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী উদ্যোগে এই টিকা আমদানি করতে পেরেছি। তার নেতৃত্বেই বহু সংকট মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। তাই প্রধানমন্ত্রী আমাদের ‘ভ্যাকসিন হিরো’।
তিনি বলেন, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি দেশের সব জেলা ও উপজেলায় করোনার টিকা পৌঁছানো হবে। ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। টিকা কার্যক্রম বাস্তবায়নে মাঠে ৪২ হাজার কর্মী কাজ করছেন।
তিনি আরো বলেন, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে টিকা দেয়ার পর প্রত্যেককে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কারো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবেন চিকিৎসকেরা। এভাবে আগামী জুনের মধ্যে দেশের সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষকে করোনার টিকা দেয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী কবে করোনার টিকা নেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, দেশের সবাই টিকা নেয়ার পর নেবো। না হয় মানুষ বলবে আগে মন্ত্রীরাই করোনার টিকা নিয়ে গেছেন। তবে ৭ ফেব্রুয়ারি যখন সারাদেশে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে করোনার টিকা বিতরণ করা হবে তখন সরকারের অনেকেই এই টিকা নেবেন।
বেসরকারি হাসপাতালে টিকা দেয়ার বিষয়ে তিনি আরো বলেন, যেসব হাসপাতালে নিবন্ধন রয়েছে তাদেরকে সরকার নীতিমালা অনুযায়ী করোনার ভ্যাকসিন দেয়া হবে। তারাও করোনার টিকা প্রয়োগ করতে পারবেন।
এসময় মন্ত্রী আরো জানান, দেশে এখন ৭০ লাখ ভ্যাকসিন আছে। এই মুহূর্তে ভারত ছাড়া অনেক দেশের কাছেই ভ্যাকসিন নেই। মে-জুনের মধ্যে কোভেক্সের ভ্যাকসিন চলে আসবে বলে আশা করছি।