করোনাভাইরাস
বিএসএমএমইউতে প্রথম টিকা নিলেন সুপ্রিম কোর্টের ৩ বিচারক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১১:১৭
-601f77e9a124c.jpg)
মহামারি করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে দেশব্যাপী কভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মহাখালী স্বাস্থ্য ভবনে ভার্চুয়ালি টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
তার আগেই সকাল ৯টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) টিকা নেন সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারক। তাদের মধ্যে প্রথমেই টিকা নিয়েছেন বিচারক জিনাত আরা হক। এরপর নেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক এম ইনায়েতুর রহীম ও একই বেঞ্চের অপর বিচারক মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
আর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রথম টিকা নেন দীপংকর ঘোষ নামে একজন চিকিৎসক।
রাজধানীর পাশাপাশি দেশের সবগুলো জেলা ও উপজেলা সদরের হাসপাতালগুলোতে একযোগে এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা।
বিএসএমএমইউ’র সকাল ৯টায় টিকাদান কর্মসূচি হয়েছে বলে জানান উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য আব্দুস সামাদও টিকা নিয়েছেন।
বিএসএমএমইউ হাসপাতালে প্রথম এক ঘণ্টায় প্রায় ৫০ জন টিকা নিয়েছেন। হাসপাতালটিতে টিকা দেয়ার জন্য আটটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। মূলত ভিআইপি ও করোনার সম্মুখসারির যোদ্ধাদের এখান থেকে টিকা দেয়া হচ্ছে। টিকা দেয়ার পর টিকাগ্রহণকারীকে টিকাদান-পরবর্তী কক্ষ বা পোস্ট ভ্যাকসিনেশন রুমে নেয়া হচ্ছে। সেখানে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত টিকাগ্রহণকারী ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
সরকারিভাবে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৮টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে রাজধানী ঢাকার ৫০টি হাসপাতাল ও সারাদেশের ৯৫৫টি হাসপাতালসহ মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে।
বর্তমানে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কভিড-১৯ টিকার ৭০ লাখ ডোজ রয়েছে এবং করোনার টিকা নিতে চাইলে www.surokkha.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। সরকারের লক্ষ্য ছিল প্রতিদিন গড়ে ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষকে টিকা দেয়া। তবে এপর্যন্ত তিন লাখ ২৮ হাজার মানুষ অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রথম মাসে ৬০ লাখেরও বেশি মানুষকে টিকা দেয়ার সিদ্ধান্তের পরিবর্তে ৩৫ লাখ লোককে টিকা দেয়া হবে।
রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ৫০টি এবং বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্য়ায়ে ৯৫৫টিসহ সর্বমোট ১ হাজার ৫টি সরকারি হাসপাতাল, মাতৃসদন ও ক্লিনিকে টিকা প্রদান করা হবে। টিকাদান করতে রাজধানী ঢাকায় ২০৪টি দলসহ সারাদেশে ২ হাজার ৪০০ দল কাজ করবে। প্রতি দলে দুজন স্বাস্থ্যকর্মী ও চারজন স্বেচ্ছাসেবীসহ থাকবেন ছয়জন সদস্য। প্রতি দলের টার্গেট দৈনিক ১৫০ জনকে টিকা দেয়া। সকাল ৮টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত টিকা দেয়া হবে।