পাপুলের এমপি পদ বাতিলের রুল শুনানি ২২ ফেব্রুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:২২

শহীদ ইসলাম পাপুল। ফাইল ছবি
অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে সাজাপ্রাপ্ত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদ ইসলাম পাপুলের পদ বাতিলের বিষয়ে জারি করা রুলের শুনানি আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি।
আজ সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিটকারীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী শেখ আওসাফুর রহমান। এর আগে নির্বাচনি হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেয়া ও শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ দাখিল করায় পাপুলের সংসদ সদস্য পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট দায়ের করেন একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল ফয়েজ ভূঁইয়া।
ওই রিটে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক ও পাপুলকে বিবাদী করা হয়।
রিট আবেদনটির শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ১৮ আগস্ট পাপুলের এমপি পদ কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
পরে মামলাটি বিচারপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র ঠাকুর এবং বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য আসে।
অর্থপাচার ও মানবপাচারের মতো অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে গত ২৮ জানুয়ারি পাপুলকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন কুয়েতের আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার (প্রায় ৫৩ কোটি ২১ লাখ টাকা) জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে পাপুল ও তার পরিবারের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে অস্বাভাবিক লেনেদেনের তথ্যের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত ২৭ ডিসেম্বর পাপুলের পরিবারের আটটি ব্যাংকের ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব, ৩০ একরের বেশি জমি, গুলশানের ফ্ল্যাটসহ দেশে থাকা সম্পদ জব্দ করে দুদক। ১১ নভেম্বর অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পাপুল, তার স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিন প্রধানকে আসামি করে মামলা করে দুদক।