Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫:৫৩

স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন

ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনে স্বাস্থ্যবিধি জারি করেছে সরকার।

মাস্ক ছাড়া কাউকে শহীদ মিনার চত্বরে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। প্রতিটি সংগঠনের পক্ষ হতে সর্বোচ্চ পাঁচজন ও ব্যক্তি পর্যায়ে একসাথে সর্বোচ্চ দুইজন শহীদ মিনারে ফুল দিতে পারবেন। শহীদ মিনারের সব প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার জন্য বেসিন ও লিকুইড সাবান রাখা হবে।

আজ সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২১ উদযাপনে গত ১৮ জানুয়ারি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এক আন্তমন্ত্রণালয় সভা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিস্তারিত কর্মসূচি নেয়া হয়।

রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানসহ সবাই পূর্বের ঐতিহ্য বজায় রেখে যাতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দিবসটি পালন উপলক্ষে জাতীয় অনুষ্ঠানের সাথে সঙ্গতি রেখে বর্তমান কভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনসমূহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আজিমপুর কবরস্থানে ফাতেহা পাঠ ও কোরআনখানির আয়োজনসহ দেশের সকল উপাসনালয়ে ভাষা শহীদদের রুহের মাগফেরাতের জন্য প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। 

কর্মসূচি অনুযায়ী, ২১ ফেব্রুয়ারি দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনে সঠিক নিয়মে, সঠিক রঙ ও মাপে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও দিবসটি পালনে নিয়োজিত সকল প্রতিষ্ঠান ও সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জরুরি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শহদী মিনার এলাকায় চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপন ও পর্যাপ্ত সংখ্যক অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হবে। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ঢাকাসহ সারাদেশে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ‘ডিসইনফেকশন (জীবাণুমুক্তকরণ)’ কার্যক্রম ও ‘ফার্স্ট এইড বুথ’ স্থাপন করবে।

দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে ঢাকা শহরের বিভিন্ন সড়কদ্বীপ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাজনক স্থান বাংলাসহ অন্যান্য ভাষার বর্ণমালা সংবলিত ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হবে।

একুশের বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার এবং ভাষা শহীদদের সঠিক নাম উচ্চারণ, শহীদ দিবসের ভাবগাম্ভীর্য রক্ষা, শহীদ মিনারের মর্যাদা সমুন্নত রাখা, সুশৃঙ্খলভাবে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ইত্যাদি জনসচেতনতামূলক বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি গণমাধ্যমে প্রয়োজনীয় প্রচারের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর তিন ধরনের পোস্টার মুদ্রণ করবে। বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর, গণগ্রন্থাগার অধিদফতর, আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদফতর, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট, যুব উন্নয়ন অধিদফতর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি; ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক একাডেমি, বিরিশিরি, নেত্রকোনা; রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি, মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি, কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গ্রন্থমেলা, আলোচনা সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, সুন্দর হাতের লেখা ও রচনা প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।

এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও অধীনস্থ শাখা জাদুঘরগুলো এবং প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের সব প্রত্নস্থল ও জাদুঘরে শিশু-কিশোর, শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (অটিস্টিক) শিশুদের বিনা টিকিটে পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫