
ছবি: সংগৃহীত
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর আদালতে হাজিরা দিয়েছেন।
আজ বুধবার (১০ মার্চ) অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবু বকর সিদ্দিকের আদালতে তিনি হাজিরা দেন।
এছাড়াও মিনহাজ মান্নানকে একদিনের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এসআই, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আফছার আহমেদ রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আদালতে আবেদন করেন।
কিন্তু দিদারুলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে অভিযোগপত্র দেয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেননি আদালত।
একই মামলায় কারাগারে থাকা অবস্থায় মারা যাওয়া লেখক মুশতাক আহমেদের আইনজীবী তার জব্দ করা মোবাইল ও কম্পিউটার ফেরত দেয়ার আবেদন জানান। পরে জব্দ করা জিনিসগুলো ফেরত দেয়া যাবে কি না, সে বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হয়ে প্রায় ১০ মাস কারাবন্দি থাকার পর গত ৩ মার্চ কিশোরের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। পরদিন ৪ মার্চ তিনি কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান।
গত বছরের মে মাসে লেখক মুশতাক আহমেদ, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ইসলাম ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নানকে র্যাব গ্রেফতার করে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কথাবার্তা ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে তারাসহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে র্যাব। সেই মামলায় দুজন জামিনে মুক্তি পেলেও মুশতাক ও কিশোরের জামিন আবেদন ছয়বার নাকচ হয়।
নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে বিফল হয়ে গত ২১ জানুয়ারি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন কার্টুনিস্ট কিশোর ও লেখক মুশতাক আহমেদ। ২৫ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে বন্দী অবস্থায় মারা যান মুশতাক।