খাগড়াছড়িতে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২১, ১৫:০৭

খাগড়াছড়িতে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর ভিড় বাড়ছে। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে জ্বর ঠাণ্ডা সর্দিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
গত দুই সপ্তাহে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে মারা গেছে ৩ শিশু। রোগীর চাপ বাড়ায় জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে নার্স ও চিকিৎসকরা। আক্রান্ত শিশুদের দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছে চিকিৎসকরা।
প্রতিদিনই খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে। হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে কোন শয্যা খালি নেই। অনেকে হাসপাতালের বেড খালি না পেয়ে অনেকে বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছে। রাতে ঠাণ্ডা ও দিনে গরমসহ আবহাওয়ার এমন তারতম্যের কারণে রোগীর পরিমাণ বাড়ছে।
গত দুই সপ্তাহে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩ শিশু। এখনো পাহাড়ি এলাকায় ঠাণ্ডার প্রকোপ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ঠাণ্ডা ছাড়াও শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায়। ঠাণ্ডায় আক্রান্ত শিশুদের বেশির ভাগের বয়স ৬ থেকে ১৮ মাস।
চিকিৎসা নিতে আসা শিশুদের স্বজনরা বলেন, বাচ্চারা হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। নিউমোনিয়া, ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালে ৩-৪দিন রাখার পর সুস্থ হয়ে যাচ্ছে।
হঠাৎ করে রোগীর চাপ বাড়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে নার্স ও চিকিৎসকরা। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স পারমিচাকমা, সিজন পরিবর্তনের কারণে রোগীর প্রকোপ বেড়েছে। জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসা সেবা দিতে চেষ্টা করছি। প্রতিদিন গড়ে ১০-১৫ জন শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হচ্ছে। বেড খালি না থাকায় অনেকে বারান্দায় চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছে।
অনেক সময় অভিভাবকদের গাফিলতির কারণে শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্ত শিশুকে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দিয়েছে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতাল শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ রাজেন্দ্র ত্রিপুরা।
তিনি বলেন, অনেক সময় অভিভাবকরাও দেরিতে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এতে অনেক রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না।
খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন নূপুর কান্তি দাশ জানান, মৌসুম পরিবর্তনের কারণে প্রতিদিন বহির্বিভাগে রোগীর চাপ বাড়ছে। প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৪ থেকে ৫শ রোগী সেবা নিচ্ছে। সামনে এই আরো বাড়তি পারে।