
এখনো নাটোরে মহাসড়ক দাঁপাচ্ছে থ্রি হুইলার। নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে দায়িত্বরত পুলিশের সামনেই চলাচল করছে ভ্যান, লেগুনা, ভটভটি, ইজিবাইক, রিকসা ও সিএনজি। শহরের মাদ্রাসামোড় থেকে প্রতিদিন বগুড়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাই একাধিক সিএনজি, ইজিবাইক এবং লেগুনা।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি খন্দকার শরিফুল ইসলাম জানান, মহাসড়কে থ্রি-হুইলার রোধে ওপরের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। এটি বাস্তবায়নে জিরো টলারেন্স নীতি মানা হচ্ছে। তবুও মানুষের আইন না মানার মানসিকতায় এসব কঠোর পদক্ষেপের সুফল দৃশ্যমান হচ্ছে না। অবৈধ যানবাহনের বিপরীতে ট্রাফিকের জনবল কম বলে আইন অমান্যকারীদের সবসময় শাস্তির আওতায় আনা যাচ্ছে না। তবে পুলিশের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
পরিবহন শ্রমিকদের নেতা হোসেন আলী বলেন, তিন চাকার যানগুলোর প্রায় প্রতিটিরই ফিটনেস ও লাইসেন্স সনদ থাকলেও নেই রুট পারমিট। রুট পারমিটের জন্য সেগুলো চলাচল করতে দিচ্ছে না পুলিশ। শহর ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) বিকর্ণ কুমার চৌধুরী বলেন, নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে শহরের জজকোর্ট পর্যন্ত এরিয়ায় থ্রি-হুইলার চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না। সেই সঙ্গে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।
জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক মিঠুন আলী বলেন, মানুষের দুর্ভোগের কথাও ভাবা দরকার। ছোট যানগুলো চলাচলের জন্য আলাদা লেন করে মহাসড়কে চলাচল বন্ধ করা উচিত।
জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাগর ইসলাম বলেন, মহাসড়কে এসব যান বন্ধে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যে কোনো সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি।