বেবিচক-রেল মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে মামলার হুঁশিয়ারি মেয়র আতিকের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২১, ১২:১৫

ছবি: সংগৃহীত
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিভিল এভিয়েশন- বেবিচক) ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে মামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
এই দুই সংস্থার দখলে থাকা পৃথক ডোবা ও নালায় মশার লার্ভা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
আজ সোমবার (১৫ মার্চ) ডিএনসিসি মেয়র মশা নিধনে চলমান ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মেয়র বলেন, সরকারি দুটি প্রতিষ্ঠানের ডোবায় কোটি কোটি মশার প্রজনন হচ্ছে। এসব মশা বিমানবন্দরের ভেতরে ঢুকছে। অবিলম্বে এসব ডোবা থেকে কচুরিপানাসহ ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে।
তখনই তাৎক্ষণিকভাবে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজাকে এসব সংস্থা ও মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন মেয়র।
পরিদর্শনকালে বিমানবন্দর রেল স্টেশনের পূর্ব পাশে রেল মন্ত্রণালয়ের একটি খাল পরিষ্কার করতে গিয়েও পারেননি ডিএনসিসির মশক নিধন কর্মী। এ বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে আতিক বলেন, এ জায়গাগুলো আমাদের না; সিভিল এভিয়েশনের, রেল মন্ত্রণালয়ের। সিভিল এভিয়েশনকে আমি বারবার বলেছি, তাদের চেয়ারম্যানকে বলেছি, এগুলো পরিষ্কার করার জন্য। তিনি বলেছেন, স্যার আমি পরিষ্কার করে দেবো, কিন্তু করেননি। এ জায়গাগুলো লার্ভার খনি। আমরা এখন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবো।
তিনি বলেন, আমরা সিভিল এভিয়েশনকে ভেহিকেল মাউন্টেড ফোগার মেশিনও দিয়েছি। সেটা দিয়েও তারা তাদের জায়গায় স্প্রে করতে পারে। আমাদের কাজের গাফিলতির দায়ভার আমরা নেবো। কিন্তু তাদের গাফিলতির দায়ভার তো তাদের নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা মশা নিধনে পদ্ধতিগত পরিবর্তন এনেছি। সনাতন থেকে আধুনিক সব প্রয়োগ করছি। কিন্তু সবাই যদি যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে না আসে, তাহলে এ কাজ সফল হবে না। আমাদের মনে রাখতে হবে যে মশার কোনো বাউন্ডারি দেয়াল নেই। একজনের গাফিলতিতে জন্মানো মশা পুরো শহরে ছড়িয়ে যাবে।
পরিদর্শনকালে সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।