সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনার পর ঝুমন দাশ আপনের (২৮) বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।

গতকাল বুধবার (২৪ মার্চ) রাতে শাল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল করিম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় ঝুমনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। 

শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

ঝুমনকে ১৬ মার্চ রাতে আটকের পর ১৭ মার্চ ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত সেদিন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তিনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। 

ওসি নাজমুল জানান, ঝুমন দাশের বিরুদ্ধে বুধবার রাতে থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। এই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

গত ১৫ মার্চ দিরাই উপজেলা শহরে আয়োজিত এক সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগীর ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বক্তব্য দেন। পরে মামুনুল হককে নিয়ে ঝুমন ফেসবুকে আপত্তিকর একটি পোস্ট দেন। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে ১৬ মার্চ রাতে নোয়াগাঁও গ্রামের লোকজন ঝুমনকে পুলিশে দেন। 

পরে ১৭ মার্চ সকালে নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ আনে গ্রামবাসী।

এ ঘটনায় ৫০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো দেড় হাজার মানুষের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়। মামলায় প্রধান আসামি স্থানীয় ইউপি নেতা শহীদুল ইসলাম স্বাধীনসহ ৩৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।