
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া মিছিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৪ জন কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকি থেকে মিছিল শুরু করে মুক্তাঙ্গনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়।
প্রথমে মিছিলটি মতিঝিলের শাপলা চত্বরের দিকে যায়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে করেছে বিক্ষোভ মিছিলটি পরিচালিত হয়।
পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে মতিঝিল বিভাগের পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক, মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার (এসি-পেট্রোল), মতিঝিল থানার একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও একজন কনস্টেবল গুরুতরভাবে আহত হয়ে রাজারবাগ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকি ৩ পুলিশ সদস্য সামান্য আহত। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা হলেন- খিলগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি), মতিঝিল জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ও এক কনস্টেবল।
এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মিন্টু কুমার বলেন, বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে শাপলা চত্বর এলে পুলিশ সদস্যরা বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন। এসময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর আক্রমণ শুরু করে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খাঁন দাবি করে বলেন, সংগঠনের ১০ জন কর্মী আহত হয়েছেন। আরও পাঁচজন কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে।
এছাড়া পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করেছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, মতিঝিল-পল্টনের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় অন্তত পুলিশের ৭ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪ জন গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকি তিন পুলিশ সদস্য প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৪ জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।