
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার যে ১৮টি জরুরি নির্দেশনা জারি করেছিল, তার মধ্যে গণপরিবহনে ৫০ শতাংশ সিট ফাঁকা রাখার কথা বলা হয়। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী দুই সপ্তাহের জন্য গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়।
আজ (৩১ মার্চ) সকাল থেকেই গণপরিবহনে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্তটি কার্যকর হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, মোহাম্মদপুর থেকে মতিঝিলগামী বাসগুলোয় বর্ধিতহারে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে। কোনো ক্ষেত্রে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া চাওয়া হচ্ছে। অনেকে জড়াচ্ছেন বাকবিতণ্ডায়। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার বাধ্যবাধকতার কথা বলা হলেও দেখা যায়নি হ্যান্ডস্যানিটাইজারের ব্যবহার। তবে বাসে অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। আবার মাস্ক ছাড়াও অনেকে উঠে পড়ছেন বাসে।
মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) সমসাময়িক বিষয় নিয়ে নিজ বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেওয়ার সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, বর্ধিত ৬০ শতাংশ ভাড়ায় ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে বাস। এর আগে সোমবার (২৯ মার্চ) গণপরিবহন মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করার পর এসংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগামীকাল (বুধবার) থেকে দেশের সব গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নেয়া সাপেক্ষে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী দুই সপ্তাহ পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভাড়া আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।’
এ সময় মন্ত্রী স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন খালি রেখে এবং শতভাগ মাস্ক পরিধান ও হ্যান্ডস্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের গণপরিবহনের মালিক শ্রমিকদের এবিষয়ে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দেন।