রাঙামাটিতে দলের সদস্যের গুলিতে জনসংহতি কর্মী খুন

রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২১, ১১:২৯

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় নিজ দলের সদস্যের হাতে খুন হয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কর্মী বিশ্বমিত্র চাকমা (৩৫)।
গতকাল মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) রাতে উপজেলার সংগঠনটির নিয়ন্ত্রিত এলাকা হিসেবে পরিচিত বাবুপাড়া এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশ আজ বুধবার (৩১ মার্চ) সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক সুদর্শন চাকমা জানিয়েছেন, ‘বিশ্বমিত্র আমাদের দলের রাজনীতির সাথে জড়িত ও হত্যাকারী সুজনও আমাদের কর্মী ছিলো। কিন্তু সুজন গোপনে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির সাথে যে আঁতাত করেছিলো সেটা আমরা জানতাম না। গত রাতে একসাথে থাকাকালে তিনি বিশ্বমিত্রকে গুলি করে হত্যা করে। এরপর তিনি পালিয়ে গিয়ে সন্তু লারমার দলে যোগ দিয়েছি বলে জেনেছি।’
বিশ্বমিত্র দলের সহযোগী সংগঠন ‘যুব সমিতি’র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো বলে জানিয়েছেন সুদর্শন।
তবে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ত্রিদিব চাকমা জানিয়েছেন, ‘আমরা এসবের কিছুই জানি না। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’
বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) অভ্যন্তরীণ বিরোধে একজন মারা যাওয়ার খবর পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করি এবং ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, এই বিষয়ে নিহতের স্বজনরা মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। মামলার পর আমরা আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো।
এদিকে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিশ্বমিত্র ও সুজন- দুজনই সংগঠনটির সশস্ত্র শাখার কর্মী এবং মঙ্গলবার রাতে একইস্থানে সশস্ত্র পাহারা দেয়ার সময় সুজন আকস্মিকভাবে টহল দলের কমান্ডার বিশ্বমিত্রকে গুলি করে হত্যা করে এবং একাধিক ভারি অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে যায়।
বিশ্বমিত্রও একসময় সন্তু লারমার দল ছেড়ে জনসংহতি সমিতিতে (এমএন লারমা) যোগ দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।