রাইড শেয়ারিং বন্ধ : মোটরসাইকেল চালকদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২১, ১৩:০২
ছবি: সংগৃহীত
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দুই সপ্তাহের জন্য রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের মাধ্যমে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন চালকরা।
আজ বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মোটরসাইকেলসহ অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের চালকরা।
তারা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান। পরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া শাহবাগ এলাকা অবরোধ করেন রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল চালকরা। এই বিক্ষোভের ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
চালকরা বেলা ১১টা থেকে প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় জড়ো হতে শুরু করেন। বেলা ১২টা পর্যন্ত কয়েকশ মোটরসাইকেল প্রেসক্লাবের সামনে জমায়েত হয়েছে।
মোটরসাইকেল চালকরা জানান, চাকরি না থাকায় সংসার চালাতে মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং করেন তারা। সরকারের নির্দেশনায় গণপরিবহন চললেও মোটরসাইকেল বন্ধ করে তাদের পেটে লাথি মারা হয়েছে।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া সোহেল নামের এক চালক বলেন, বাসে, সিএনজিত যাত্রী পরিবহনে কোনো সমস্যা নেই। সবাই কাজে বের হচ্ছে। শুধু আমাদের ক্ষেত্রে সমস্যা। আমরা আমাদের রুটি-রুজির জন্য রাস্তায় নেমেছি। আমাদের পেটে লাথি মারা হয়েছে। যতক্ষণ মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনের অনুমোদন দেয়া না হবে, তৎক্ষণ আমরা রাস্তা ছাড়বো না।
দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বুধবার (৩১ মার্চ) বিআরটিএর উপ-পরিচালক (প্রকৌশল শাখা) বিমলেন্দু চাকমা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের মাধ্যমে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে মোটরসাইকেলের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞাসহ অন্য মোটরযানে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে সরকারের উপরোক্ত নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এছাড়া গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনাও দিয়েছে বিআরটিএ।