Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

করোনার কারণে পাহাড়ে এবারো স্থগিত ‘বৈসাবি’

Icon

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২১, ১৩:০৩

করোনার কারণে পাহাড়ে এবারো স্থগিত ‘বৈসাবি’

ছবি: রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

করোনাভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলোর প্রধান সামাজিক উৎসব ‘বৈসাবি’ গত বছরের মতো এবারো উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে স্থগিত করা হয়েছে।

চৈত্র সংক্রান্তিতে বাংলা পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করে নিতে এই উৎসব পালন করা হয়। 

প্রতিবছর এই সময়ে রাঙ্গামাটিতে বিঝু, সাংগ্রাই, সাংক্রান, সাংক্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু (বৈসাবি) আমেজে পাহাড়ি জনপদের পাড়ায় পাড়ায়, ঘরে ঘরে উৎসবে মুখরিত হয়ে থাকে। করোনার কারণে রাঙ্গামাটিতে বৈসাবি অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। তাই এবারো আনুষ্ঠানিকভাবে হচ্ছে না বৈসাবি র‌্যালি ও ফুল ভাসানো উৎসব। 

এই উৎসবের অন্যতম দিক হলো ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা, পাহাড়ি নৃত্য, গান, অতিথি আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন, পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সংস্কৃতিকে লালন ও পালন করা। গত বছর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনার কারণে বৈসাবি উৎসব ম্লান হয়ে যায়। তবে এই বছর উৎসবে বাড়তি আয়োজনে জাঁকজমকপূর্ণ ছিল। কিন্তু শেষ অবদি তাও হলো না। 

ত্রিপুরাদের ভাষায় বৈসু, মারমাদের ভাষায় সাংগ্রাই ও চাকমা ভাষায় বিঝু ও তঞ্চঙ্গ্যা ভাষায় বিষু নামের এই উৎসবকে এক সাথে  বৈসাবি আখ্যায়িত করা হয়। উৎসবের প্রথম দিন চাকমাদের ফুলবিঝু, দ্বিতীয় দিন মূলবিঝু, তৃতীয় দিন গোজ্যেপোজ্যের দিন। মারমারা প্রথমদিন পাইংছোয়াই, দ্বিতীয় দিন সাংগ্রাইং আক্যা, তৃতীয় দিন সাংগ্রাইং আপ্যাইং। ত্রিপুরাদের প্রথম দিন হারিবৈসুক, দ্বিতীয় দিন বৈসুকমা, তৃতীয় দিন বিসিকাতাল নামে এই উৎসব পালন করে। 

উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ইন্টু মনি তালুকদার বলেছেন, অন্যান্য বছর আমরা উৎসাহ, উদ্দীপনা ও আনন্দমুখর পরিবেশে এই উৎসব পালন করি। কিন্তু করোনার প্রভাব ও সরকারি নির্দেশনায় জনসমাবেশ হবে এমন অনুষ্ঠান আমরা স্থগিত করছি। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যে যার অবস্থান থেকে ঘরোয়া পরিবেশে উৎসব পালনের প্রস্তুতি চলছে। তবে শহর এলাকা ও গ্রামাঞ্চল আলাদা। শহর এলাকায় ঘনবসতি ও করোনার প্রভাবও বেশি। তাই গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসবের আয়োজন চলছে।

প্রতিবছর বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করে পাহাড়ে বসবাসরত ১৩ নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর উদ্যোগে এই উৎসব পালন করা হয়। আর এই উৎসব সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে ৯ এপ্রিল থেকে উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে র‌্যালিসহ বিভিন্ন ধরনের পাহাড়ি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ১২ এপ্রিল সকালে গঙ্গা দেবীর উদ্দেশে ফুল ভাসিয়ে নববর্ষের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু করে পাহাড়িরা। এই উৎসবকে ঘিরে পাহাড়ের গ্রামে গ্রামে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫