
ছবি: রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রতি মৌসুমে রাজশাহীর বাঘা উপজেলা থেকে অনুমতি নিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটতে যান হাজার হাজার শ্রমিক। চলতি মৌসুমেও ধান কাটার জন্য এলাকা ছাড়ছেন প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক।
চলতি সপ্তাহ থেকে তারা বাইরে যাওয়া শুরু করেছেন। তবে করোনাভাইরাসের কারণে এবার সরকারের দিকনির্দেশনা মেনে ধান কাটতে এলাকার বাইরে যাচ্ছেন শ্রমিকরা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কৃষি অফিসারের কাছে গ্রুপভিত্তিক আবেদন করে প্রত্যয়নপত্র নিয়েছেন শ্রমিকরা। গত মৌসুমে প্রায় ২২ হাজার শ্রমিক গ্রুপভিত্তিক আবেদন করে উপজেলা থেকে প্রায় ১৫/২০ জনের একেকটি দল ধান কাটতে গিয়েছিল। চলতি মৌসুমেও ২০ হাজার শ্রমিক পর্যায়ক্রমে ধান কাটতে যাওয়ার জন্য এলাকা ছাড়তে শুরু করেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে জানা যায়, ছয় হাজার শ্রমিক ইতিমধ্যে আবেদন করে প্রত্যায়নপত্র নিয়েছেন। তারা ধান কাটতে নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় যাচ্ছেন।
ছাতারি গ্রামের শ্রমিক দলনেতা হাফিজুল ইসলাম জানান, এসময় এলাকায় তেমন কোনো কাজ থাকে না। প্রায় দুই মাস বেকার অবস্থায় থাকতে হয়। সংসার চালাতে গিয়ে অনেকে ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়ে। তাই ধান কাটার এই মৌসুমে খাদ্য সংগ্রহের জন্য এলাকার বাইরে যায়। তবে একেক জন শ্রমিক ২০-২৫ মণ ধান নিয়ে বাড়ি ফিরেন। গত মৌসুমে যানবাহন চলাচলে বিধি নিষেধ থাকায় চুক্তিভিত্তিক গাড়ি ভাড়া করে গিয়েছিলাম। আবার অনেকে বাইসাইকেল ও ভ্যান নিয়ে গিয়েছিল।
উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, ধান উৎপাদিত এলাকায় প্রতিবছর এ সময় শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। এর প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে করোনার মধ্যেও প্রত্যায়নপত্র দিয়ে শ্রমিক পাঠানো হচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও আমার যৌথ স্বাক্ষরে প্রত্যয়নপত্র (অনুমতি) দেয়া হচ্ছে। তবে এর মধ্যে কেউ যদি করোনা আক্রান্ত এলাকা থেকে নিজ এলাকায় ফিরে আসে, তাদের নমুনা পরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানা বলেন, যেহেতু শ্রমিকরা এক দলে কাজ করবে। সেজন্য নিজেদের সাবধানতা অবলম্বন করে দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বেশি বেশি পানি পান ও ঘনঘন সাবান দিয়ে হাত ধৌত করার জন্য পরামর্শ দিয়ে প্রত্যায়নপত্র দেয়া হচ্ছে।