অল্প সময়ের মধ্যে ঢাকায় কনস্যুলেট খোলার জন্য সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন উজবেক প্রেসিডেন্ট সাভাকাভ মিরজিয়য়েভ।
এ সময় তিনি ঢাকা থেকে তাসখন্দের সরাসরি বিমান চলাচল সম্ভাবনা খোঁজারও নির্দেশ দেন।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে তাসখন্দের বাংলাদেশ দূতাবাস।
এতে বলা হয়, শুক্রবার মধ্য এশিয়ার দেশ উজবেকিস্তানের তাসখন্দে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর আলম সে দেশের প্রেসিডেন্ট সাভাকাভ মিরজিয়য়েভের কাছে তার পরিচয়পত্র জমা দেন।
এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুক্রবার এ পরিচয়পত্র জমা দেয়া হয়।
এ সময় উজবেকিস্তানে নবনিযুক্ত চেক প্রজাতন্ত্র, মিশর, জর্ডান, তুর্কি, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও রাশিয়ান রাষ্ট্রদূতরাও তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন।
উজবেক প্রেসিডেন্ট সাভাকাভ মিরজিয়য়েভের কাছে পরিচয়পত্র জমা দেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: সংগৃহীত
যদিও করোনা পরিস্থিতির কারণে সীমিত পরিসরে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপকালে উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার ব্যক্তিগত শুভেচ্ছা জানান। বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সহায়তা কামনা করেন তিনি।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন। বাংলাদেশের গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং চামড়া খাতের সাফল্যের কথা উজবেক প্রেসিডেন্টের কাছে তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত পর্যটন, শিক্ষা, ক্রীড়া ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে দুটি বন্ধুপ্রতিম দেশের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বাড়াতে ঢাকায় উজবেকিস্তানের দূতাবাস স্থাপন ও ঢাকা-তাসখন্দ-ঢাকা সরাসরি বিমান চলাচল পুনরায় চালু করার জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেন।
রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর আলম আগামী ২৭ মে অনুষ্ঠেয় দুই দেশের মধ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিক ফরেন অফিস কনসালটেশন সভা ফলপ্রসূ করতে সাভাকাভ মিরজিয়য়েভের সহায়তা চান।
এ সময় উজবেক প্রেসিডেন্ট সাভাকাভ উপস্থিত সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল আজিজ কামিলভকে ঢাকায় প্রাথমিকভাবে উজবেকিস্তানের একটি কনস্যুলেট খুলতে ও উভয় দেশের মধ্যে প্রথম এফওসি মিটিং ফলপ্রসূ করতে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণের তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দেন।
সরাসরি বিমান চলাচলের বিষয়টি পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
এর আগে উজবেক প্রেসিডেন্ট কার্যালয় পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল রাষ্ট্রদূতকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। রাষ্ট্রদূতকে তার বাসা থেকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার মোটর শোভাযাত্রা সহকারে আনা নেয়ার ব্যবস্থা করে।