ভারতের সাথে সীমান্ত বন্ধের পরামর্শ জাতীয় কমিটির

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২১, ১৩:৩০

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত। ফাইল ছবি
প্রতিবেশি ভারতের সাথে সীমান্ত বন্ধ বা কঠোর সতর্কতা জারির পরামর্শ দিয়েছে দেশের কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
কারণ ভারতে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দেশটিতে আশঙ্কাজনক হারে করোনার নতুন ধরন ছড়াচ্ছে। একদিনেই দেশটিতে তিন লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হচ্ছে।
এ অবস্থায় ভারতের নতুন এই ধরন যেন বাংলাদেশে আসতে না পারে সে লক্ষ্যে ভারতের সাথে বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় পরামর্শক কমিটি।
তারা বলছেন, যেহেতু ভারত একেবারেই কাছের দেশ, সীমান্তগুলোও সীমিতভাবে চালু রয়েছে, স্থলবন্দর দিয়ে যাতায়াতও রয়েছে, তাই দেশে এই ধরন চলে আসা সময়ের ব্যাপার। আর দেশে যদি এই ধরন এসে যায়, তবে ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগবে না। তাই এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ভারত আমাদের সীমান্তবর্তী দেশ। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের কী অবস্থা আমরা দেখতে পাচ্ছি। তাদের সাথে যেহেতু আমাদের এখনো সীমান্ত খোলা, যেকোনো সময়েই দেশটির ধরনটি আমাদের দেশে চলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি ভারত থেকে চলেই আসে, তবে তা আমাদের জন্য অনেক ঝুঁকির কারণ হবে।
তিনি বলেন, আগেই ভারত থেকে আসা যাত্রীদের সর্বোচ্চ কোয়ারেন্টিনের জন্য টেকনিক্যাল কমিটি সুপারিশ করেছিল। কিন্তু আমরা সেটাও করতে ব্যর্থ হয়েছি। তাই এখনই ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
সরকারকে কমিটির পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিটিতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আজকালের মধ্যে সরকারকে সুপারিশ করা হবে।
ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ আশঙ্কা করছেন, ভারতের ‘ডাবল ভ্যারিয়েন্ট’ বাংলাদেশে প্রবেশ করলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে। ‘ডাবল ভ্যারিয়েন্ট’ যেন দেশে না ঢুকে, সেজন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।