স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন
মে মাসেই রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক-ভি’র আপাতত ৪০ লাখ ডোজ আসার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান।
আজ মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলেন তিনি।
মাহবুবুর রহমান বলেন, স্পুটনিক-ভি ছাড়াও চীনের সিনোফার্মের (চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ) বিষয়েও কাজ করছি আমরা। যে ভ্যাকসিন দেশের জন্য প্রয়োজন, বিভিন্ন উৎস থেকে সেটি পাওয়ার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের পর রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মে মাসের মধ্যেই এই টিকাটি বাংলাদেশে আসবে এবং প্রথমে ৪০ লাখ টিকা আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রাশিয়া থেকে স্পুটনিক ভি টিকা আমদানি করা হবে সরকারি পর্যায়ে। সরকারের একটি করা আছে, সেই কমিটির মাধ্যমে সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগ করে, নেগোশিয়েশন করে, কত অ্যামাউন্ট আসবে, কি দাম হবে, সেটা নির্ধারণ করে এই ভ্যাকসিনটা আমাদের দেশে আমদানি করা হবে।
মহাপরিচালক বলেন, স্পুটনিক ভি দুই ডোজের ভ্যাকসিন। অর্থাৎ এটার ক্ষেত্রেও দুইটি ডোজ নিতে হবে। প্রথম ডোজ দেয়ার ২১ দিন পরে দ্বিতীয় ডোজ দিতে হয়। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেয়ার পর এই টিকা নেয়া যাবে কিনা, সেই পরামর্শ দেবেন ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশনক টেকনিক্যাল এক্সপার্ট গ্রুপ (এনআইটিইজি), যারা টিকা বিষয়ে সরকারে কারিগরি পরামর্শ দিয়ে থাকে। তবে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত, যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন, তারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাই পাবেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা অন্য অনেক দেশ রাশিয়ার তৈরি করা এই টিকার অনুমোদন দেয়নি। তাহলে বাংলাদেশ কোন ক্যাটাগরিতে এই টিকার অনুমোদন দেয়া হলো, জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমাদের ড্রাগ রেগুলেটরের যে নিয়ম রয়েছে, দেশে যে নিয়ম রয়েছে, তা মধ্যে থেকেই দিয়েছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন না থাকলেও আমরা দিতে পারি। জরুরি অনুমোদন হিসাবে আমরা দিয়েছি।
আজ ঔষুধ প্রশাসন অধিদফতরের এক সভায় টিকা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত জরুরি জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রের ওষুধ, পরীক্ষামূলক ওষুধ, টিকা ও মেডিকেল সরঞ্জামবিষয়ক কমিটি এই অনুমোদন দেয়।