
হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ বনজদ্রব্য পরীক্ষণ ফাঁড়ির (শায়েস্তাগঞ্জ চেক স্টেশন) ঝুপড়ি ঘরে অবস্থান করে ঝুঁকির মধ্যে দায়িত্ব পালন করছেন কর্তব্যরতরা।
জানা গেছে, ১৯৬৫ সালে সিলেট বন বিভাগের শায়েস্তাগঞ্জ রেঞ্জ অফিসের কার্যক্রম চালু হয়। পরে এ রেঞ্জ অফিসের অধীনে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লস্করপুর গ্রামস্থ পুরানবাজার সেতুর কাছে সড়কের পাশে সওজের জমিতে কার্যক্রম শুরু হয় শায়েস্তাগঞ্জ বনজদ্রব্য পরীক্ষণ ফাঁড়ির। নতুন মহাসড়ক চালু হলে ২০০১ সালে এ ফাঁড়িটি লস্করপুর রেলওয়ে গেইটের কাছে সওজের জমিতে স্থানান্তর করা হয়। শুরু থেকে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনে করে চোরাই কাঠ ও কাঠের তৈরি ফার্নিচার পাচাররোধে দিবারাত্রী এ ফাঁড়ি ভূমিকা পালন করে আসছে।
এরফলে ফাঁড়িটির ভূমিকায় সিলেট বিভাগের বনাঞ্চল থেকে গাছ পাচার অনেকাংশে রোধ হচ্ছে। তবে সেই মান্দাতার আমল থেকে এ পর্যন্ত বনজদ্রব্য ফাঁড়ির স্থায়ীভাবে পাকা কোনো ভবন নির্মাণ হয়নি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বর্তমানে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে একটি ঝুপড়ি ঘরে ঝুঁকি নিয়ে কর্তব্যরতরা অর্পিত দায়িত্ব পালন করছেন। এ সময় কথা হলে শায়েস্তাগঞ্জ বনজদ্রব্য পরীক্ষণ ফাঁড়ির সহকারী কর্মকর্তা আহমদ আলী বলেন, চাকরি করতে হলে ঝুপড়ি আর পাকা ঘর দেখা যাবে না। সঠিকভাবে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। এখানে জীবনের ঝুঁকিকে আপন করেই দায়িত্ব পালন করে চলেছি।