
আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাগান মালিক ও চাষিরা দিন কাটাচ্ছেন শঙ্কায়। বৃষ্টির অভাবে ইতিমধ্যে ঝরে পড়ছে আমের গুঁটি। গাছে গাছে আমের গুঁটি দেখা গেলেও দীর্ঘ ছয়-সাত মাস ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল হওয়ায় আমকে ঘিরেই এ অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা; কিন্তু বৈরী আবহাওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের মুখের হাসি যেন মলিন হয়ে গেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নয়াগোলা, কোর্ট এলাকা, বালিয়াডাঙ্গা, নতুনহাট, চরি, শিবগঞ্জের পিঠালীতলা, কানসার্ট, সেলিমাবাদ, ইসরাইল মোড়, শেখটলা, বিরামপুর মরদানাসহ বেশ কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, আমের গুঁটি বের হওয়া শুরু হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় আমের গুঁটি স্বাভাবিকভাবে বড় হচ্ছে না। আবার যে গুঁটিগুলো এক সপ্তাহ আগে ফুটেছিল তাও ঝরে পড়েছে।
এতে করে চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে। সদর উপজেলার নতুন হাটের আম ব্যবসায়ী মারুফ জানান, এ বছর আমের গুটি ভালোই এসেছে। তবে অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এখন পর্যন্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ফলন বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। খুব ভয়ে আছি, যদি বৃষ্টি না হয় অনেক লোকসান হবে।
শিবগঞ্জের শেখটলা এলাকার আমির হোসেন জানান, প্রায় ১২৩ বিঘা আমের বাগান কিনেছি। চলতি মৌসুমে পর্যাপ্ত পরিমাণ মুকুল এসেছিল। গত ৪ এপ্রিল জেলায় যে ধূলিঝড় হয়েছিল। সে সময় আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে। অনেক আমের গুঁটি ঝড়ে পড়ে গেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, এবার ভালো মুকুল আসার পাশাপাশি গুঁটিও সময় মতো এসেছে। এ মুহূর্তে বৃষ্টি হলে ফলন ভালো হবে। না হলে আম উৎপাদনে ব্যাহত হতে পারে। সব আম চাষিকে খরচ বেশি পড়লেও গাছে পানি দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।