
শেষ সময়ে টুপির দোকানে ভিড় করছে ক্রেতারা
শেষ হতে যাচ্ছে পবিত্র সিয়াম সাধনার মাস রমজান। দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ-উল-ফিতর। ঈদে নতুন জামা-কাপড়ের সাথে নতুন টুপি-আতরের চাহিদা কম নয়। তাই তো ঈদের কেনা কাটার শেষ সময়ে এসে খুলনায় ক্রেতারা ভিড় করছেন আতর-টুপির দোকানে।
ঈদ উপলক্ষে খুলনা মহানগরীর ডাকবাংলো মোড় ও ফুটপথগুলোতে বসেছে অস্থায়ী টুপি আর আতরের দোকান। বিক্রিও জমে উঠেছে সেখানে। দোকানিদের মতে, সারা বছর টুকটাক বিক্রি হলেও রমজান মাসের শুরু থেকে তাদের ব্যবসা ভালো। এটা ঈদের আগের রাত পর্যন্ত চলবে।
দুই ছেলে নিয়ে নগরীর বয়রা সুইচ গেট এলাকা থেকে আতর কিনতে ডাকবাংলো মোড়ে আসা শাহীনা সুলতানা বলেন, সন্তানদের নতুন জামা-কাপড় কেনা হয়েছে। বাকি ছিল আতর আর টুপি। ছেলেরা বায়না ধরেছে পাঞ্জাবি, টুপি ও আতর না মেখে ঈদ জামাতে যাবে না। তাদের আবদার মেটাতে এই ভিড়ের মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে নতুন টুপি আর আতর কিনতে এসেছি।
ডাকবাংলো মসজিদ সংলগ্ন টুপি-আতরের দোকান মালিক হুমায়ুন কবির মামুন জানান, রোজার শুরু থেকে দোকানে বেচাকেনা বেশ ভাল। তার দোকানে প্রায় ২০০ প্রকারের সুগন্ধি আতর ও হরেক রকমের টুপি রয়েছে। আতরের মধ্যে (সুগন্ধি) ক্রেতারা ছয় ধরনের আতর বেশি ক্রয় করেন। তার মধ্যে রয়েছে ক্লাসিক, দুবাই, সৌদি, আল নওইম, জেহাব ও হারামাইন। আতর প্রতি মিলিগ্রাম ৮০ টাকা থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে বিক্রি করছেন। টুপির ব্যাপারে তিনি বলেন, শেষ মুহূর্তে টুপির চাহিদাও খুব। বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি টুপির চাহিদা বেশি।
ডাকবাংলো সুপার মার্কেটের আতর বিক্রেতা মো. রাশেদ জানান, রোজার প্রথম দিকে তেমন সাড়া না পেলেও গত দুদিন তিনি দম ফেলার সময় পাচ্ছেন না। ক্রেতাদের চাপ সামলাতে অতিরিক্ত দুইজন কর্মচারী রেখেছেন। আতর ও টুপির চাহিদা বেশ । ফিরোজ কোম্পানি ও স্টোন দিয়ে তৈরি করা টুপির চাহিদা বেশি তার দোকানে।