Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

সাতক্ষীরায় বাড়ছে কুকুরের উপদ্রব

Icon

কৃষ্ণ ব্যানার্জী

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২১, ১০:৪৬

সাতক্ষীরায় বাড়ছে কুকুরের উপদ্রব

সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় বেড়েই চলছে ক্ষুধার্ত বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পথচারী বৃদ্ধসহ কোমলমতি শিশুরা। এদিকে গত ৩ মাসে জেলায় কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন শিশু ও নারীসহ প্রায় ১১০০ ব্যক্তি। তারা সকলেই জলাতঙ্ক থেকে রক্ষা পেতে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। অপরদিকে অন্যান্য প্রাণির কামড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯৯ জন।

শহর ঘুরে দেখা যায়, কলেজ মোড়, ফুড অফিসের মোড়, পোস্ট অফিসের মোড়, জুবলি স্কুল  মোড়, নবারুণ স্কুল মোড়, চৌধুরীপাড়া, আনন্দপাড়া, শিবতলা  মোড়, পুরাতন সাতক্ষীরা, বাজার এলাকায় কুকরের উপদ্রব সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ফুড অফিসের মোড় ও  পোস্ট অফিসের মোড় এলাকায় দল বেঁধে ১৫  থেকে ২০টি কুকুর ঘোরাঘুরি করে। 

স্থানীয় লোকজন বলছেন, সন্ধ্যা নামলেই বাড়ছে কুকুরের উপদ্রব। পথচারীদের গতিরোধ করে দাঁড়াচ্ছে কুকুরের দল। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৪৬৪ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩২৪ জন ও মার্চ মাসে ৩১২ জন কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। এদের বেশির ভাগই শিশু ও বয়স্ক। ১২০ থেকে ১৮০ জন রোগীকে বিনা মূল্যে ভ্যাকসিন (টিকা) দিচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। 

মধু, সুজয় ইসলাম, সুব্রতসহ একাধিক পথচারী জানান, কুকুরগুলো মহামারির সময়ে ব্যাপকতর খাদ্য সংকটে পড়ে দিনদিন হিংস্র হয়ে উঠেছে। এবং আমাদেরকে প্রতিনিয়ত কামড় দিয়ে আহত করছে। বাইরের কাজ সেরে রাতে রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়া খুবই মুশকিল আমাদের।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল ইসলাম জানান, জেলায় প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজারের অধিক কুকুর রয়েছে। ক্ষুধার জ্বালায় অতিষ্ঠ। তারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পথচারীদের কামড় দিয়ে আহত করেছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী তাদেরকে না মেরে জলাতঙ্ক প্রতিষেধক টিকা দেওয়া হচ্ছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫