ঝিনাইদহে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার পরেও ভারত ফেরত চারজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন নারী ও তিনজন পুরুষ রয়েছেন। তাদের সদর হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ মে) দুপুরের দিকে তাদের বাড়িতে পাঠানোর কথা ছিলো। গত ৩ মে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছিলেন তারা। সেই থেকে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন।
এ খবর নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় পিটিআই কোয়ারেন্টিন সেন্টারের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম রকিবুল হাসান।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে ঝিনাইদহ পিটিআই কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকা ১১৯ জনের মধ্যে সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ৮১ জনের রিপিল টেস্ট করানো হয়েছে। এ সময় চারজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে আইইডিসিআরসহ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পরীক্ষার পরে সিদ্ধান্ত হবে আক্রান্তরা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শরীরে বহন করছেন কি না? অন্যদের মধ্যে করোনা মুক্ত সনদ দিয়ে ২৩ জনকে নিজ নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে বাংলাদেশে আসা ২৭ জনের মধ্যে যে তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছিল তাদের এখন নেগেটিভ। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব টেস্টে ওই ব্যক্তিদের শরীরে করোনার কোনো অস্তিত্ব মেলেনি। এর আগে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ছিলো তাদের।
এ খবর নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে ওই তিনজনকে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে না। আইইডিসিআর ল্যাবে পাঠানো নমুনার ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত বিশেষ ব্যবস্থায় সদর হাসপাতালেই রাখা হয়েছে। তবে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ার ঘটনায় নতুন করে ভাবনায় পড়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।