-60b1b34d8d24a.jpg)
প্রতীকী ছবি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সাতজনসহ দেশে নতুন করে আরো ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজন সম্প্রতি ভারত ভ্রমণ করে দেশে ফিরেছেন। বাকি আটজন ভারতে না গিয়েও এই ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার (২৮ মে) রাতে জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা (জিআইএসএআইডি) এর ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সেখানে জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য আপলোড করেছে ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর, আইদেশী ও আইসিডিডিআর-বি। নতুন করে শনাক্ত হওয়া এই ব্যক্তিদের নমুনা নিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের আইইডিসিআর।
জিআইএসএআইডির তথ্য বলছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ওই সাতজনের পাঁচজনই পুরুষ। পুরুষ পাঁচজনের মধ্যে সবচেয়ে কনিষ্ঠজনের বয়স ১৩ বছর। একজনের বয়স ৩০ বছর, আরেক জনের বয়স ২১ বছর। বাকি দুজন হলো ৫২ বছর বয়সী ও ২৭ বছর বয়সী। বাকি দুজন নারী। নারী দুজনের বয়স একজনের ২৭ বছর, আরেকজনের ৩১ বছর। এই সাতজনের কেউই অবশ্য সম্প্রতি ভারত ভ্রমণ করেননি।
জিআইএসএআইডির তথ্যানুযায়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছাড়া অন্য জেলাগুলো হচ্ছে- চুয়াডাঙ্গা, গাইবান্ধা, ঝিনাইদহ, বাগেরহাট, পিরোজপুর ও খুলনা। এদের নমুনা গত ১৩ মে থেকে ২২ মে এর মধ্যে সংগ্রহ করা হয়।
গত ৮ মে দেশের দুইজনের শরীরে করোনার ভারতীয় ধরনের (বি.১.৬১৭.২) অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তারা দুজনই পুরুষ এবং উভয়ই সম্প্রতি ভারত থেকে দেশে ফেরেন। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট ২০ জন ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরনের উপস্থিতি পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সে তথ্য জিআইএসএআইডির তথ্যভান্ডারে প্রকাশিত হয়েছে। এই ২০ জনের মধ্যে কেবল ১১ জন সম্প্রতি ভারত ভ্রমণ করেছেন। বাকিরা দেশে থেকেই সংক্রমিত হয়েছেন।