Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

জজের স্বাক্ষর জাল করে কোটি টাকা আত্মসাৎ

Icon

খুলনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২১, ২১:৪০

জজের স্বাক্ষর জাল করে কোটি টাকা আত্মসাৎ

খুলনা জেলার মানচিত্র।

খুলনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষর জাল করে আনুষঙ্গিক খাতের ভুয়া বিল-ভাউচার বানিয়ে ১ কোটি ২ লাখ ২৪ হাজার ৪০ টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় খুলনার দুদক কার্যালয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক খুলনার উপ-পরিচালক মো. নাজমুল হাসান মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, টাকা আত্মসাতের ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে সোমবার মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তিনি নিজেই তদন্ত করছেন।

তিনি বলেন, অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রসেস সার্ভার/জারিকারক এমএম নাহিদুল ইসলাম এবং মো. নাজমুল হাসানকে আটক করা হয়েছে। ওই মামলায় তাদের জেলগেটে বিজ্ঞাসাবাদ করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। 

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রসেস সার্ভার/জারিকারক যথাক্রমে এমএম নাহিদুল ইসলাম এবং মো. নাজমুল হাসান পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দ বাগচীর স্বাক্ষর জাল অথবা স্ক্যান করে খুলনা বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে দাখিল করতেন।

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আনুষঙ্গিক খাতে ( কোড নং- ৩২৫৫১০৫) বরাদ্দ না থাকা সত্ত্বেও বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ অফিসের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহযোগিতায় ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের ২৩ মার্চ পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ২ লাখ ২৪ হাজার ৪০ টাকার বিল ছাড় করেন। 

উক্ত ছাড়কৃত অর্থ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নামে জনতা ব্যাংক লিমিটেড খুলনার খানজাহান আলী রোড শাখায় জমা হয়। পরবর্তীতে নাহিদুল ইসলাম ও নাজমুল হাসান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সুনন্দ বাগচীর স্বাক্ষর স্ক্যান করে তার কার্যালয়ের ভুয়া স্মারক ব্যবহার করে ব্যাংকটির শাখা ব্যবস্থাপকের বরাবর জমা দেন।

ওই পত্রে আসামি দুজনের একই ব্যাংকের পৃথক দুটি হিসাব নম্বরে টাকা জমা দেয়ার অনুরোধ করেন। এরপর জনতা ব্যাংক শাখার অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চিঠি যাচাই না করে এবং হিসাবধারীকে ফোনে না জানিয়ে ভুয়া পত্রের ফটোকপির ওপর ভিত্তি করে আসামিদের ব্যক্তিগত হিসাবে টাকা ট্রান্সফার করেন। এরপর আসামিরা ব্যক্তিগত একাউন্টের চেকের মাধ্যমে সরকারি অর্থ নগদায়ন করে আত্মসাৎ করেন।

দুদক খুলনার উপ-পরিচালক মো. নাজমুল হাসান বলেন, বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তার অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এ কারণে  ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫