টাইমস্কেল নিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৯ হাজার শিক্ষকের আপিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২১, ১৯:৩১

হাইকোর্ট। ফাইল ছবি
সারা দেশে জাতীয়করণ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের টাইম স্কেল কেটে নিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্র বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল আবেদন দাখিল করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুন) আপিল বিভাগের সংশ্লিস্ট শাখায় এই আপিল দাখিল করা হয় বলে জানান আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম।
শিক্ষকদের টাইম স্কেল কেটে নিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে জারি করা রুল খারিজ করে হাইকোর্ট গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রায় দেন। রায়ে বলা হয়, চাকরি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির যথাযথ জায়গা হলো প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল। এনিয়ে রিট আবেদন চলতে পারে না। রিট আবেদনকারীদের ট্রাইব্যুনালে যাবার স্বাধীনতা থাকবে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন দাখিল করা হয়েছে।
২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১ লাখ ৪ হাজার ৭৭২ জন শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণের ঘোষনা দেওয়া হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন কর্তৃপক্ষ অধিগ্রহণ করা এসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরির শর্ত ঠিক করে একটি বিধিমালা জারি করে। এই বিধিমালার আলোকে শিক্ষকরা টাইমস্কেল পেয়ে আসছেন। কিন্তু গতবছর ১২ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয় ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের ওই টাইমস্কেল বাতিল করে একটি আদেশ জারি করে। এতে এরইমধ্যে টাইম স্কেল বাবদ নেওয়া অর্থ ফেরত দিতে বলা হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এ আদেশটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গতবছর ৩১ আগস্ট হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহীর গাঙ্গোপাড়া বাগমারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমানসহ কয়েকজন শিক্ষক এ রিট আবেদন করেন। ওইদিন হাইকোর্ট ৬ মাসের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের আদেশ স্থগিত করে দেন। এরপর হাইকোর্টের আদেশের অনুলিপি গতবছর ৮ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত গতবছর ১৩ সেপ্টেম্বর এক আদেশে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেন। চেম্বার বিচারপতির আদালতের আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন রিট আবেদনকারীরা। এ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগ রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় রুলের ওপর শুনানি শেষে ওই রুল খারিজ করে রায় দেন হাইকোর্ট।