Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

করোনায় কাজ হারিয়েছেন ৬২ শতাংশ মানুষ

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২১, ২২:৪৯

করোনায় কাজ হারিয়েছেন ৬২ শতাংশ মানুষ

করোনার প্রভাবে গেলো বছর দেশে কাজ হারিয়েছেন ৬২ ভাগ মানুষ। ফাইল ছবি

করোনার প্রভাবে গেলো বছর দেশে কাজ হারিয়েছেন ৬২ ভাগ মানুষ। যৌথ জরিপের ভিত্তিতে এমন কথা বলছে সিপিডি ও অক্সফাম বাংলাদেশ। 

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) এক অনলাইন আলোচনায় তারা জানায়, সামাজিক সুরক্ষার বিভিন্ন ভাতা মূল্যস্ফীতির তুলনায় যথেষ্ট নয়।

দেশে করোনার সার্বিক প্রভাব নিয়ে যৌথ জরিপ করেছে সিপিডি এবং অক্সফাম বাংলাদেশ। ১৬ জেলার ২ হাজার ৬০০ পরিবার নিয়ে জরিপের ভিত্তিতে আজ অনলাইন সভায় সিপিডি জানায়, গেলো বছর বিভিন্ন সময়ে কাজ হারিয়েছে ৬২ শতাংশ মানুষ। চলতি বছরের শুরুর দিকে কিছু মানুষ কাজ ফিরে পেলেও, আগের অবস্থানে যেতে পারেননি। যার ফলে বেড়েছে আয়-বৈষম্য।

জরিপে দেখা গেছে, ৬২ শতাংশ মানুষ করোনা শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে কর্মসংস্থান হারিয়েছেন। যার বড় অংশ ২০২০ সালের এপ্রিল ও মে মাসে কর্মহীন হয়েছেন। পরে অনেকেই কাজে ফিরলেও আগের মতো আর চাকরি ফিরে পাননি। কর্মহীনদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ একমাসের বেশি বেকার ছিলেন। তবে ইতিবাচক বিষয় হচ্ছে- জরিপকালে দেখা গেছে, প্রায় সবাই চাকরি ফেরত পেয়েছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের হার বেড়েছে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায়।

জরিপে আরও দেখা গেছে, কৃষি খাতে কর্মসংস্থান বেড়েছে। এ খাতে ১৮ দশমিক ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে সেবা খাতে ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ কর্মসংস্থান কমেছে। আবার শিল্প খাতেও প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

সিপিডি বলছে, কর্মসংস্থান হলেও আয় কমেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আয় কমেছে কৃষি খাতে। করোনার প্রভাবে ৭৮ শতাংশ মানুষ তাদের ব্যয় কমিয়ে দিয়েছেন। ৫২ শতাংশ খরচ কমাতে গিয়ে খাদ্য অভ্যাস কিছুটা পরিবর্তন করেছেন। জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষের ঋণের বোঝা বেড়েছে। ঋণ আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে।

জরিপের তথ্য বলছে, কর্মসংস্থানে আছেন এমন ৪০ শতাংশ মানুষ করোনা সংক্রমণের আগের চেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছেন। আর ৮৬ শতাংশ বলছেন, তারা যা আয় করছেন তাতে সন্তুষ্টির জায়গায় নেই।

করোনায় আয়ের ওপর সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষের। ২৫০০ টাকা থেকে ৭৫০০ টাকা আয়ের মানুষের আয় কমেছে ২২ থেকে ২৮ শতাংশ। এর ফলে দারিদ্র্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

এর আগে বিভিন্ন সময়ে সিপিডি জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে নতুন কোরে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে এসেছেন দেশের দেড় কোটি মানুষ। অনলাইন সভায় জানানো হয়, বিভিন্ন সংস্থার গবেষণার পরও নতুন দরিদ্রদের হিসাব নিয়ে অস্বীকৃতি আছে নীতি-নির্ধারক পর্যায়ে।

এ বিষয়ে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, মহামারির প্রভাবে যারা কাজ হারিয়েছেন তাদের জন্য এবারের বাজেটে কোনো ভাতার ব্যবস্থা রাখা হয়নি।

প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ানো হলেও, বিশেষ ভাতার অর্থ বাড়েনি। যা বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় সামাজিক সুরক্ষা দিতে যথেষ্ট নয় বলে মনে করছে সিপিডি।

এদিকে, বিনিয়োগ বাড়াতে দেশি এবং বিদেশি প্রতিষ্ঠানের নীতিমালার সমন্বয় প্রয়োজন বলছেন উদ্যোক্তারা। এছাড়া প্রকৃত সুবিধাভোগীদের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনতে জাতীয়ভাবে তথ্য সংগ্রহ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং হালনাগাদের তাগিদ বিশ্লেষকদের।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫