Logo
×

Follow Us

বাংলাদেশ

চুরি করে মশার ওষুধ বিক্রি, চাকরিচ্যুত ডিএসসিসির ৪ কর্মী

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ জুন ২০২১, ২০:৪২

চুরি করে মশার ওষুধ বিক্রি, চাকরিচ্যুত ডিএসসিসির ৪ কর্মী

নগর ভবন।

মশা নিয়ন্ত্রণের ওষুধ অ্যাডাল্টিসাইড সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কার্যালয়ে না দিয়ে চুরি করে দোকানে বিক্রির দায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসির) চার কর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

একইসঙ্গে চুরি যাওয়া কীটনাশক ক্রয় করায় দোকান মালিকের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

চাকরিচ্যুত চার কর্মী হলেন- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৫ এর ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের দৈনিক মজুরিভিত্তিক মশক কর্মী উজ্জ্বল সিদ্দিকী, সুজন মিয়া, হাফিজুল ইসলাম ও জুয়েল মিয়া।

সোমবার (২১জুন) করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক দফতর আদেশে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।

জানা গেছে, গত ৯ জুন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে থেকে সাপ্তাহিক মশক নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য ৭, ৪৫, ৪৬, ৫০, ৫২ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের মশক সুপারভাইজার ও তার প্রতিনিধির কাছে ৬ ড্রাম কীটনাশক (অ্যাডাল্টিসাইড) সরবরাহ করা হয়।

প্রতিটি ড্রামের ধারণক্ষমতা ২০০ লিটার। নিয়ম অনুযায়ী, সেসব কীটনাশক কাউন্সিলর দফতরে পৌঁছানোর কথা। কিন্তু সরবরাহকৃত অ্যাডাল্টিসাইড কাউন্সিলর কার্যালয়ে পৌঁছে না দিয়ে ৪৬, দক্ষিণ সায়দাবাদের মেসার্স ভাই ভাই এজেন্সি নামের খুচরা জ্বালানি তেল বিক্রেতার দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে করপোরেশনের মশক সুপারভাইজার মো. মনিরুল ইসলাম ও স্বাস্থ্য পরিদর্শক মিজানুর রহমান মেসার্স ভাই ভাই এজেন্সিতে উপস্থিত হন। এ সময় তারা সেখানে ২০০ লিটারের দুটি ড্রাম ভ্যান গাড়ি থেকে নামানো অবস্থায় দেখতে পান।

ইতোমধ্যে আরেকটি ভ্যানযোগে ৩০ লিটার ধারণক্ষমতার তিন গ্যালন অ্যাডাল্টিসাইড মেসার্স ভাই ভাই এজেন্সির ১৩/৬/২, উত্তর-পশ্চিম যাত্রাবাড়ীর শোরুমের সামনে পৌঁছানোর খবর পেলে সেখানে গিয়ে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়। উপস্থিত দুই ভ্যান চালককে কোথা থেকে এসব কীটনাশক আনা হয়েছে তা জানতে চাইলে তিনি ৫০ নং ওয়ার্ডের কথা বলেন। পরে ৫০ নং ওয়ার্ডে যোগাযোগ করে জানা যায়, সরবরাহকৃত কীটনাশক সেখানে পৌঁছায়নি।

বিষয়টি তৎক্ষণাৎ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন সরকার, ৪৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম অনু, অঞ্চলের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং সায়দাবাদ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিল্লাল হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

পরে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ওই দোকান ও দোকানের গোডাউন সিলগালা করেন। এ ঘটনায় করপোরেশনের মশক সুপারভাইজার মো. মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে চুরি করা অবৈধ কীটনাশক ক্রয় করা দোকান মালিক আব্দুল মজিদ সিকদারের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানা একটি মামলা দায়ের করেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫