
মধুমতি নদীরভাঙন
গোপালগঞ্জে হঠাৎ করে মধুমতি নদীরভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। দিন দিন বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, গাছপালা, ফসলি জমি, পাকা রাস্তা। ভয়াবহ নদীভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরের বাড়িঘর ও শত শত একর ফসলি জমি। ভাঙন এলাকায় দ্রুত স্থায়ী প্রতিরক্ষার দাবি করেছেন স্থানীয়রা। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে বরাদ্দ পেয়েছি নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কাজ শুরু হবে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ডুমদিয়া, হরিদাশপুর, জালালাবাদ, চর গোবরা, ফুকরা, পুখুরিয়া, ঘোড়াদাইড়, চর সিংগাতি, মধুপুর, মানিকদাহ এলাকাজুড়ে মধুমতী নদীতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। মধুমতি নদীর তীরবর্তী এ সকল গ্রামের পরিবারের ফসলি জমি, বসতবাড়ি, গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ফলে বসতবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছে ভাঙন কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
নদীতীরের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, নদীভাঙনে ভীষণ বিপদে পড়ে আছি। এখন দ্রুত ব্লক বেড়িবাঁধ নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটাই দাবি ভুক্তভোগীদের।
সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফর রহমান বাচ্চু বলেন, গোপালগঞ্জে মধুমতি নদীতে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে নদীভাঙনের মাত্রা বেড়ে গেছে। ফসলি জমি ও গাছপালা নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। তবে ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। ইতিমধ্যে দেড়শ’ কোটি টাকা বরাদ্দও পেয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফইজুর রহমান বলেন, গোপালগঞ্জে মধুমতি নদীর ৩ কিলোমিটার ভাঙন প্রতিরক্ষায় ৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। আরোও ২৫০ কেটি টাকার প্রকল্প চেয়েছি। দ্রুত নদীভাঙন রোধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবেন বলে তিনি জানান।