ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের প্ররোচনায় তার পরিবারের আটটি অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৯ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

সাঈদ খোকনের তিনটি প্রতিষ্ঠানের, তার স্ত্রী ফারহানা আলম, বোন শাহানা হানিফ ও মা ফাতেমা হানিফের ব্যাংক হিসাবসহ মোট আটটি ব্যাংক হিসাব গতকাল সোমবার (২৮ জুন) ফ্রিজের নির্দেশ দেন আদালত।

সাঈদ খোকন বলেন, মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা ঢাকতেই তিনি একের পর এক ভিত্তিহীন অভিযোগ করে যাচ্ছেন। সন্দেহের বশবর্তী হয়ে একজন সম্মানিত মানুষের সম্মান ক্ষুণ্ণ করা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। ঢাকার শেষ সর্দার মালেক সর্দারের কন্যা, ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের স্ত্রী লাঞ্ছিত হবে, এটা ঢাকাবাসী মেনে নেবে না।

তিনি বলেন, তাপস তার ব্যর্থতা ঢাকতে বারবার আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছে। এখন দুদককে ব্যবহার করে মামলা দিয়েছে। আমার বিশ্বাস তাপসের ক্রমাগত প্ররোচনায় এমন কাণ্ড ঘটেছে। আপনি দুদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করলেই পাবেন।

তিনি আরো বলেন, দুদক কোনো নোটিশ না দিয়ে, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সরাসরি আদালতের মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এমন কর্মকাণ্ড আমার ও আমার পরিবারের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন করেছে। আমরা আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবো।

একইসাথে দুদক তদন্ত করলে তার ও তার পরিবারের কোনো আপত্তি নেই বলেও জানান সাবেক মেয়র।

তাপসকে উদ্দেশ করে সাঈদ খোকন বলেন, কতটুকু ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন এই শহরের মানুষ জানে। ঢাকার মরা লাশের ওপর পর্যন্ত ট্যাক্স বসিয়ে দিয়েছেন।

গতকাল দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক রবিবার (২৭ জুন) সাঈদ খোকনের তিনটি প্রতিষ্ঠানের তিনটি, স্ত্রী ফারহানা আলমের দুইটি, বোন শাহানা হানিফের দুইটি ও মায়ের একটি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আবেদন করে। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।