
তিন দিনের সীমিত লকডাউনের শেষ দিনে মাজার রোডের দৃশ্য
আগামী ১ জুলাই থেকে সারাদেশে সর্বাত্মক কঠোর বিধিনিধেদের আগে গত সোমবার তিনদিনের সীমিত লকডাউন (বিধিনিষেধ) দিয়েছে সরকার। রবিবার (২৭ জুন) এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপনে বলা হয় সব শপিংমল, মার্কেট, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় (শুধুমাত্র অনলাইন/টেক ওয়ে) করতে পারবে।
তবে সে বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে অবাধে চলছে দোকান ও হোটেলে বেচাকেনা। বুধবার (৩০ জুন) রাজধানীর মাজার রোড, দারুস সালাম, কল্যাণপুর ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। সীমিত লকডাউনের শেষ দিন সকালে মাজার রোডে গিয়ে দেখা যায় সব ধরনের দোকান খোলা। কেউ এক ঝাঁপ আবার কেউ বা সম্পূর্ণ দোকান খোলা রেখেছে।
হোটেলগুলোতেও একই চিত্র। বসে খাওয়ার ব্যাপারে নিষেধ থাকলেও হোটেলগুলোতে বসে খেতে দেখা গেছে। হোটেলে খেতে আসা ট্রাক ড্রাইভার শরিফুল জানান, সারারাত গাড়ি চালিয়ে এসেছি। এখন বিধিনিষেধ থাকলেও আমার পক্ষে বাসায় নিয়ে খাওয়া সম্ভব না। তাই বাধ্য হয়ে হোটেলে বসে খেতে হচ্ছে।
হোটেলের পাশের সেলুনেও একই দৃশ্য। সেখানে রীতিমতো সিরিয়াল পড়ে গেছে। বাচ্চার চুল বড় হয়ে গেছে সামনে ঈদ। এর ভিতর সরকার কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে দিলে আর চুল কাটা হবে না। বলছিলেন বাচ্চাকে নিয়ে চুল কাটাতে আশা মারিয়ম বেগম।
একই দৃশ্য দেখা যায় দারুস সালাম ও কল্যাণপুর কাঁচা বাজার এলাকায়। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চায়ের দোকানগুলোতে আড্ডা দিতে দেখা যায় অনেকের।
এ বিষয়ে দারুস সালাম থানার পরিদর্শক (এস আই) কামরুজ্জামান বলেন, আমরা সরকারের দেয়া নির্দেশ মোতাবেক সচেতন করার চেষ্টা করে চলেছি। দোকান পাট বন্ধ রাখতে বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছি। তিনি আরো বলেন, আমাদের কার্যক্রমের পাশাপাশি জনগন সচেতন না হলে বিধিনিষেধের সুফল আসবে না।