
বাড়ি ভাড়া আইনের একটি ধারার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মানসম্মত বাড়ি ভাড়া নির্ধারণের বিষয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ রবিবার (১ ডিসেম্বর) হাইকোর্ট তার রুলে বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন- ১৯৯১ এর ১৫ ধারা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। এছাড়া ‘ভাড়া নিয়ন্ত্রক’ নিয়োগসহ মানসম্মত বাড়ি ভাড়া নির্ধারণের জন্য অনুসন্ধান কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
মানবাধিকার ও পরিবেশবাদি সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা সম্পূরক আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
আগামি চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, আইন সচিব ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। এই আইনজীবী রুল জারির পর সাংবাদিকদের বলেন: ‘মানসম্মত বাড়ি ভাড়া নির্ধারণ করার কথা সরকারের। কিন্তু সরকার সেটি করেনি। ফলে ভাড়াটিয়া এবং বাড়িওয়ালাদের মধ্যে প্রায়ই বিরোধ হচ্ছে। অনেক বাড়িওয়ালাই ইচ্ছেমতো ভাড়া বাড়াচ্ছেন, অনেক ভাড়াটিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছেন। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে নানা জটিলতা হচ্ছে। কিন্তু আইনি জটিলতা এতটাই যে, কোনো ভাড়াটিয়া আদালতে গিয়ে যে প্রতিকার পাবে সেটা তারা পারছে না। এই কারণে আমরা একটি রিট করেছিলাম ভাড়ার বিষয়ে কমিশন গঠনের জন্য। অবশেষে আদালত আমাদের আবেদন শুনে রুল জারি করেছে।’