৩০০ বছরের প্রাচীন মসজিদটির সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর

আকাশ জসিম, নোয়খালী
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২১, ১৩:২৪

৩০০ বছরের প্রাচীন মসজিদ
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা। বাটইয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড। সেই ওয়ার্ডের দৌলতরামদি গ্রামে অবস্থিত রমজান মিয়া জামে মসজিদ। স্থানীয়দের কাছে চৌধুরী মসজিদ নামেও পরিচিত। প্রায় তিনশ’ বছর আগে নির্মিত এ মসজিদটি এই অঞ্চলের ঐতিহ্য বহন করে আছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক মানুষ ঐতিহাসিক পুরনো এ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটি দেখতে আসেন। অনেকে নামাজও আদায় করেন।
স্থানীয়দের মতে, ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দ কিংবা তারও আগে পাঁচ শতাংশ জমির ওপরে জনৈক মরহুম রমজান মিয়া মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মসজিদটি মোঘল আমলের স্থাপত্য শিল্পের এক অনন্য নিদর্শন। ৩১ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থের এ মসজিদের ছাদে মাঝ বরাবর একটি এবং দুই পাশে দুটি গম্বুজ রয়েছে যা পুরো ছাদকে ঢেকে রেখেছে। বর্তমানে ৫০ জনের বেশি মুসল্লির জায়গা না হওয়ার কারণে মসজিদটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের কথা উঠলেও পুরনো স্থাপত্যের নিদর্শনস্বরূপ এখনো এটি সংরক্ষণ করা হয়েছে। ঐতিহাসিক এ মসজিদটির নির্মাণশৈলী অত্যন্ত চমৎকার। শুরু থেকে সাধারণত ইট, বালু, চুন-সুরকি দ্বারা এটি নির্মিত। যদিও পরে একাধিকবার এর সংস্করণ করা হয়েছে। কয়েক বছর আগে বাইরে সিমেন্টের প্লাস্টার এবং ভেতরে টাইলসের কাজ করা হয়েছে।
মসজিদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ৩০০ বছর আগে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। জানা যায়, প্রতিষ্ঠাতাদের নাম ছিল শায়খ নূরুল্লাহ চৌধুরী ও শায়খ মুজীর আলী চৌধুরী। বর্তমানে মসজিদটির সভাপতি খাজা মঈনুদ্দীন চৌধুরী তাদেরই বংশধর। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ তাই আমি মসজিদটির দেখাশোনা করছি। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে মসজিদটিতে অনেক সমস্যা বিরাজমান। সংস্কারের অভাবে নষ্ট হতে চলছে। মাঝে মাঝে সামান্য কিছু বাজেট পাওয়া যায়, তা দিয়ে সমস্যা অনুযায়ী সংস্কার সম্ভব হয় না। পুরনো ঐতিহাসিক এ মসজিদটির ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
বাটইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, মসজিদটি সংস্কারে স্থানীয়ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও বিভিন্ন অজুহাতে আর তা হয়ে উঠেনি। যেহেতু মসজিদটি ঐতিহাসিক তাই এর সংরক্ষণ ও সংস্কার করা জরুরি।
কবিরহাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার বলেন, রমজান মিয়া জামে মসজিদটি আমি দেখেছি। এটি ছোট হলেও দৃষ্টি নন্দন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এই ঐতিহাসিক মসজিদটির সংস্কারের উদ্যোগ নেব।