
মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া লঞ্চ ঘাটে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল
পবিত্র ঈদুল আজহার মাত্র দু'দিন বাকি। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। এতে গাড়ি ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি বর্তমানে ঘাটে যে চাপ আছে, সেটা স্বাভাবিক। বিগত ঈদগুলোতে চাপ আরও কয়েক গুণ বেশি ছিল।
শিমুলিয়া ফেরিঘাটের বিআইডব্লিটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, উভয় ঘাট দিয়ে ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। সকাল ১০টা পর্যন্ত ঘাটে প্রায় তিন শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আছে। এসব যানবাহনের মধ্যে ছোট গাড়ি, বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত চার দিন ধরে এই নৌপথ দিয়ে দেশের দক্ষিণের জেলার মানুষ বাড়ি যাচ্ছে। ফলে শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ অব্যাহত রয়েছে। তবে ১ জুলাইয়ের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের আগে অনেকেই ঢাকা ছেড়ে নিজের গ্রামে ফিরে গেছে। তাই গত ঈদের থেকে এবার চাপ তুলনামূলক কম আছে। ঘাটে আসা যানবাহনগুলো কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষার পরই ফেরিতে উঠতে পারছে।
এদিকে ফেরিঘাটে যানবাহনের চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের শ্রীনগরের সমসপুর থেকে পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজা পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার সড়কজুড়ে পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রাখা হয়েছে। ঘাটের প্রবেশদ্বারে পুলিশের নিরাপত্তাচৌকিও বসানো হয়েছে।
এছাড়া মাওয়া তিন নম্বর লঞ্চঘাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য একটা পুলিশ কন্ট্রোল রুম রয়েছে। সেখানে যাত্রীদের মাস্ক পরতে বাধ্য করা হচ্ছে। তবে এত কড়াকড়ির পরও লঞ্চঘাটে সাধারণ যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানানো যাচ্ছে না।