কক্সবাজারে পর্যটনশিল্পে জড়িতদের আনন্দহীন ঈদ

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২১, ১৬:২৪

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। ছবি: সংগৃহীত
প্রতিবছর ঈদ ও সরকারি ছুটিতে সমুদ্রসৈকতে উপচেপড়া মানুষের ভিড় থাকলেও মহামারী করোনার কারণে গত দুই বছরের চিত্র ভিন্ন। এবারের ঈদেও পর্যটকশূন্য বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সৈকত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে জেলা শহরের বাইরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এ কারণে কোনও পর্যটককে কক্সবাজারে আসতে দেয়নি প্রশাসন।
পর্যটক না থাকায় সৈকতের দোকানপাট বন্ধ। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন পর্যটনশিল্পে জড়িতরা।
দেশের অন্যান্য স্থানের মতো কক্সবাজারেও করোনা শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। একদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সংক্রমণ বৃদ্ধি, অন্যদিকে স্থানীয়দের মধ্যেও শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে স্থবির হয়ে পড়েছে পর্যটননগরী। বন্ধ রয়েছে সাড়ে চার শতাধিক হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস, তিন শতাধিক রেস্টুরেন্ট, বিপণিবিতান, সৈকত সংলগ্ন শপিংমল, ট্যুর অপারেটর কার্যক্রম, বিচ বাইকসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ বলেন, ‘করোনার কারণে দফায় দফায় লকডাউনে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কক্সবাজারের পর্যটনশিল্প। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে পর্যটন বন্ধ থাকায় জেলার সাড়ে চার শতাধিক হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস কর্মরত এক লাখ শ্রমিক বেকার। ঈদের আনন্দ নেই কারও ঘরে।’
কক্সবাজার কলাতলী মেরিন ড্রাইভ রোড হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুখিম খান বলেন, ‘করোনার কারণে জেলা প্রশাসন থেকে পর্যটন আগমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় কক্সবাজার পর্যটকশূন্য। হোটেল কর্মচারীরা বেকার সময় কাটাচ্ছেন। প্রতিদিন খরচের খাতা ভারী হলেও আয়ের খাতা শূন্য।’
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘করোনার সংক্রমণরোধে বিধিনিষেধ আরোপের ফলে সৈকত ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণ করতে পারেননি পর্যটকরা। দূরের পর্যটকরা ঘুরতে আসেননি। আশপাশের কোনও পর্যটক যাতে সমুদ্রসৈকতে নামতে না পারেন ট্যুরিস্ট পুলিশ ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।’