
ছবি: প্রতিনিধি
খাগড়াছড়িতে পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে ৮শ’ পরিবার। ভারি বর্ষণে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে আসে তারা। জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরিপে উঠে এসেছে এ তথ্য। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে আতঙ্ক বেড়েছে খাগড়াছড়ির পাহাড়ি পল্লীতে।
পাহাড়ধসের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করলেও তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেই। সরেজমিনে খাগড়াছড়ি পৌর এলাকার সবুজবাগ, শালবাগান, কুমিল্লটিলা, কলাবাগান, কদমতলীসহ শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, একাধিক পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিধ্বস্ত হয়েছে অন্তত ৫০টি বসতবাড়ি। এ ছাড়া জেলার ৯ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারী মরিয়ম জানান, আমার মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। যা ছিল তাও ধসে গেছে। বৃষ্টি হলে রাতের বেলায় আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাই। ঘরের কাঠামো আছে। বৃষ্টিতে ঘরের নিচে মাটি ধসে গেছে। এভাবে কি বসবাস করা যায়। নতুন করে ঘর বানানোর সার্মথ্য নেই। প্রশাসনের সহযোগিতা চাই। পাহাড়ে পাদদেশে বসবাসকারী অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট টিপু জানান, ‘বৃষ্টি হলেই পাহাড়ের মাটি ধসে যায়। পাহাড়ের নিচে ধারক দেয়াল থাকলেও আমরা নিরাপদ না। কোথাও কোথাও অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কাটার কারণে পাহাড়ধসে গেছে। পাহাড় কেটে বসতবাড়ি নির্মাণ করায় তা ঝুঁকিতে পড়েছে।
খাগাছড়ির পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, পৌর এলাকায় দুই ওয়ার্ডে পাহাড়ধসের ঝুঁকি রয়েছে। যারা পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে, তাদের পৌর আবাসন এলাকায় পুনর্বাসন করব।
জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, প্রশাসন বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ে ধসের ঝুঁকিতে থাকা বসতবাড়ি পরিদর্শন করেছে। ভারি বর্ষণে তাদের জন্য জেলায় ৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করেছে।