
ঢাকামুখী তিন যাত্রী নদীতে পড়ে যায়
ঈদ-পরবর্তী সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের তৃতীয় দিনে বৈরী আবহাওয়া মধ্যে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানাতো দূরের কথা ধাক্কাধাক্কি করে ফেরিতে ওঠার প্রতিযোগিতা চলছে।
রবিবার (২৫ জুলাই) সকালে ফেরিঘাটে প্রায় ৫ শতাধিক যাত্রী ফেরির অপেক্ষায় ছিলেন। ফেরি আসার পরে প্রশাসনের বাধা তোয়াক্কা না করে বানের পানির মতো মানুষ ফেরিতে উঠতে থাকে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড ও র্যাবের সদস্যরা ধাওয়া করলে ঢাকামুখী তিন যাত্রী নদীতে পড়ে যায়। পরবর্তীতে তারা সাতরে পাড়ে উঠতে সক্ষম হয়।
নদীতে পরে যাওয়া তিন যাত্রীর মধ্যে এক জন মো. রুবেল হোসেন। তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করি। অফিস থেকে ঈদের দিন দুই দিনের ছুটি নিয়ে বাড়ি আসছি। আজকের মধ্যে ঢাকা না পৌঁছাতে পারলে আমার চাকরি থাকবে না। জরুরি ভিত্তিতে ঢাকা যাওয়া জন্য রওনা দিয়েছিলাম। র্যাবের ধাওয়ানী ও যাত্রীদের চাপে নদীতে পরে যাই। এতে আমার প্রয়োজনীয় সকল কাগজ পত্র ভিজে গেছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু আবদুল্লাহ খান জানান, লকডাউনে ইলিশা ফেরিঘাটে সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদেকে জেলা প্রশাসনের পক্ষে আমরা বুঝিয়ে বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করছি। ঘাটে ফেরি আসার এক পর্যায়ে যাত্রীরা আমাদের বাধা অতিক্রম করে ফেরিতে উঠতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের গতিরোধ করলে যাত্রীদের চাপে ঘাটের গ্যাংওয়ে থেকে তিন জন নদীতে পড়ে যায়। পরে স্থানীদের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করা হয়।
ভোলার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী জানান, ভোলার ফেরি ও লঞ্চঘাটে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নেতৃত্বে একটি টিম পাশাপাশি র্যাব, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ ও জেলা পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন। বিদেশেগামী যাত্রী ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ফেরিতে উঠতে দেয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি বিআইডব্লিউটিএ দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। তারাও যাত্রী পারাপারে কঠোর অবস্থানে আছেন।